গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন সকল মাত্রা ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে উপত্যকাটিতে হামলা শুরুর পর তা দশম মাসে গড়িয়েছে। চলমান যুদ্ধে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। রবিবার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় রবিবার (৭ জুলাই) গাজায় অন্তত ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। পশ্চিম গাজার একটি আশ্রয় শিবিরে চালানো ইসরায়েলের হামলায় ৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে মধ্য গাজার আল-জাওয়াইদা এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে চালানো ইসরায়েলের হামলায় ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২ জন শিশু বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর একদিন পর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শনিবারের ওই হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকার সাবরা পাড়া স্ট্রীট-৮ এ চালানো ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর আগে একটি বাড়ির সামনে বেসামরিক নাগরিকদের উপর চালানো হামলায় ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, তারা রাতের আঁধারে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি পৌরসভা ভবনে হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, হামাস এটিকে নিজেদের ‘সামরিক কার্যালয়’ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলো।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে খান ইউনিসের হামলায় হতাহতের বিষয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
এদিকে হামাস জানিয়েছে তাদের যোদ্ধারা স্কুল ও হাসপাতালসহ বেসামরিক এলাকা ও অবকাঠামোতে কখনোই আশ্রয় গ্রহণ করে না।
ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রায় ৫ লাখ মানুষকে ‘বিপর্যয়কর’ ক্ষুধার সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং উপত্যকার বেশিরভাগ হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, ক্রমবর্ধমান হতাহতের ঘটনা গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-আকসা হাসপাতালের ওপরও অব্যাহত চাপ সৃষ্টি করছে। যদিও এই হাসপাতালটি ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার করণে আহত ফিলিস্তিনিদের শেষ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। জাবালিয়ার আল-আওদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মুহাম্মদ সালহা জানিয়েছেন, ‘সেখানকার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ’।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডে নৃশংস হামলা অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।