ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে হত্যা, ৫ জনের কারাদণ্ড

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:৫২ পিএম

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও
গত বছর ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওকে হত্যার দায়ে দেশটির বড় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী গোষ্ঠীর ৫ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গত বছরের আগস্টে রাজধানী কিটোতে এক নির্বাচনী সমাবেশ থেকে বের হওয়ার সময় জাতীয় পরিষদের সদস্য ও সাবেক সাংবাদিক ভিলাভিসেনসিওকে গুলি করে হত্যা করা হয়। খবর: বিবিসির।
লস লোবোস গ্যাংয়ের নেতা কার্লোস অ্যাঙ্গুলো এবং লরা কাস্টিলাকে হত্যাকাণ্ড পরিচালনার জন্য ৩৪ বছর আট মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর হামলায় সহায়তার দায়ে দুই পুরুষ ও এক নারীকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে কিটোর আদালত।
এর আগে আদালতের শুনানিতে আইজীবীরা অভিযোগ করেছিলেন, ‘দ্য ইনভিজিবল’ হিসেবে পরিচিত অ্যাঙ্গুলো কিটো কারাগার থেকে ওই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অস্ত্র মামলায় তিনি ৫৪ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন।
আর অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাঙ্গুলো দাবি করেন, ভিলাভিসেনসিও হত্যার ঘটনায় তাকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে হত্যার জন্য কাস্টিলাকে হামলার রসদ সরবরাহের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তিনি অস্ত্র, অর্থ ও মোটরসাইকেল হামলাকারীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এছাড়া এরিক রামিরেজ, ভিক্টর ফ্লোরেস ও আলেকজান্দ্রা চিম্বোরের বিরুদ্ধে হামলায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়। তারা ভিলাভিসেনসিওর গতিবিধির ওপর নজর রাখছিলেন।
আরো পড়ুন: নাইজেরিয়ায় স্কুলভবন ধসে ২২ শিক্ষার্থী নিহত
বিচার চলাকালে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ সাক্ষ্য দিয়েছেন, যার অন্যতম প্রধান এক সাক্ষী বলেছিলেন যে, ভিলাভিসেনসিওকে হত্যা করার জন্য ওই গ্যাং তাকে দুই লাখেরও বেশি ডলার প্রস্তাব দিয়েছিল।
বিবিসি লিখেছে, নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এ রাজনীতিক মৃত্যু হুমকি পেয়েছিলেন এবং তাকে নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রচারণা অব্যাহত রাখেন; এর মধ্যে ৯ আগস্ট কিটোর উত্তরে একটি স্কুলের বাইরে একদল আততায়ী তাকে গুলি করে হত্যা করে।
বিচার চলাকালে আইজীবীরা বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজন ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
এছাড়া ছয়জন কলম্বীয় পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, প্রাক-বিচারের জন্য এল লিটোরাল কারাগারে রাখা অবস্থায় তারা হত্যার শিকার হন।
এদিকে আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ভিলাভিসেনসিওর স্ত্রী ভেরোনিকা সারাউজ। তিনি বলেছেন, এই রায়ের মাধ্যমে তার স্বামীর মৃত্যুর পেছনের কাহিনী জানার সূচনা হলো মাত্র।
লাতিন আমেরিকার তুলনামূলক নিরাপদ ও স্থিতিশীল দেশ হিসেবেই ইকুয়েডরের পরিচিতি আছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কলম্বিয়া ও মেক্সিকোর মাদক চক্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিতে অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় তাতে স্থানীয় অপরাধীরাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।