বেসরকারি চাকরিতে কোটা চালুর সিদ্ধান্ত!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৯ এএম

বেসরকারি চাকরিতে কোটা চালুর সিদ্ধান্ত। ছবি: সংগৃহীত
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা বা কোটা চালু করতে চলেছে ভারতের কর্ণাটকের কংগ্রেস দলীয় সরকার। রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভা সে জন্য একটি বিলে অনুমোদন দিয়েছে।
রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ লাড বুধবার (১৭ জুলাই) জানিয়েছেন, রাজ্যের সব বেসরকারি সংস্থার ব্যবস্থাপক পদমর্যাদার ৫০ শতাংশ চাকরি কর্ণাটকের কন্নড়ভাষীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। ব্যবস্থাপক পদমর্যাদার নয়, এমন পদের ক্ষেত্রে কোটা ৭০ শতাংশ সংরক্ষিত থাকবে স্থানীয়দের জন্য।
শ্রমমন্ত্রীর এ ঘোষণার আগেই অবশ্য রাজ্যেটিতে অসন্তোষ দেখা দেয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটি পোষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে। ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া লেখেন, রাজ্যের সব বেসরকারি সংস্থার গ্রুপ ‘সি’ ও ‘ডি’ পদের শতভাগ চাকরি স্থানীয়দের দিতে হবে।
ওই পোস্টের পরেই রাজ্যটির মারাঠা ও তেলুগুভাষী অঞ্চলে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়, শুরু হয় বিক্ষোভ। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী নিজের একাউন্ট থেকে মুছে ফেলেন সেই পোস্টটি। এরই জেরে বুধবার রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী সরকারি সিদ্ধান্তের নতুন ব্যাখ্যা দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টের পর রাজ্যের ব্যবসায়ীদের সংগঠনের (অ্যাসোচ্যাম) সহ-সভাপতি আর কে মিশ্র এক এক্স বার্তায় জানান, সরকারের নীতি প্রযুক্তি সংস্থাদের ভয় পাইয়ে দেয়ার মতো। এ সিদ্ধান্তকে তিনি অদূরদর্শী বলে মনে করেন।
পরে অবশ্য সমালোচনার মুখে শ্রমমন্ত্রী জানান, তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন, তাদের ভয় দূর করবেন।
রাজ্যের শিল্প–বাণিজ্যমন্ত্রী এইচ বি পাতিলও বলেন, ব্যবসায়ীরা শঙ্কা প্রকাশ করছে। সরকার তাদের শঙ্কা অবশ্যই দূর করবে। সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে ব্যবসায়ীদের যেন কোনো ক্ষতি যাতে না হয়, তা অবশ্যই বিবেচনা করে দেখা হবে।
আরো পড়ুন: সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়লো
কর্ণাটক সরকার বেসরকারি চাকরিতে ‘কোটাব্যবস্থা’ চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের শরিক রিপাবলিকান পার্টির নেতা ও মন্ত্রী রামদাস আটোয়ালে দাবি করেছেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উচিত, সব বেসরকারি সংস্থায় অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) জন্য চাকরি সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা।
কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক ন্যায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আটোয়ালে বুধবার বলেন, অতি অনগ্রসর শ্রেণির লোকেরা হন্যে হয়ে চাকরি খোঁজেন। সরকারি সংস্থাগুলো এখন বেসরকারি ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাচ্ছে। ফলে সরকারি সংস্থায় চাকরির হার কমে যাচ্ছে। সরকারের তাই উচিত, বেসরকারি সংস্থায় এই শ্রেণির জন্য কোটা চালু করা।