পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অবস্থা হবে বাংলাদেশের মতো: যা বললেন মমতা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১৩৮ বছরের পুরোনো আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি।চিকিৎসক ধর্ষণের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গে বড় বিক্ষোভের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ আজ মধ্যরাতে রাজ্যটির নারীরা রাস্তায় বের হয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছেন।
কলকাতা পুলিশ ও গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতের ট্রেইনি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ওই পোস্টগ্র্যাজুয়েট ছাত্রী। দিবাগত রাত দুইটায় বাইরে থেকে খাবার এনে নৈশভোজ সারেন আরো দুই বন্ধুর সঙ্গে। এরপর তিনি জরুরি বিভাগ ভবনের চারতলার একটি সেমিনার কক্ষে বিশ্রাম নিতে যান। পরদিন শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ তার নিথর দেহ দেখতে পান হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীর বাড়িতে ফোনে খবর দিয়ে জানিয়ে দেয়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছুটে আসেন হাসপাতালের জুনিয়র-সিনিয়র চিকিৎসকেরা। তারা অর্ধনগ্ন মরদেহ দেখে অভিযোগ করেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে। শুরু হয় চিকিৎসকদের আন্দোলন।
এমন পরিস্থিতিতে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে— অর্থাৎ সরকারের পতন হয়ে যেতে পারে। কারণ এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সরকার পতনের আশঙ্কা নিয়ে কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছেন, বাংলাদেশের মতো এখানেও সরকার ফেলে দেবে। আমি ক্ষমতায় মায়া করি না।”
বুধবার বেহালায় ভারতের স্বাধীনতা দিবস পূর্ববর্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। সেখান থেকেই আরজি করের ঘটনা এবং তার প্রতিবাদ আন্দোলন প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বলেছেন তিনি। মমতার কথায়, “আরজি করের ঘটনা নিয়ে সিপিএম এবং বিজেপি রাজনীতি করছে। বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। অনেকে ভাবছেন, বাংলাদেশের ঘটনা টেনে এনে এখানেও ক্ষমতা দখল করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আমি ক্ষমতার মায়া করি না। যত দিন বাঁচব, মানুষকে ন্যায়বিচার এনে দেব। এই ঘটনা জানার পরেও আমি পুলিশকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা হাইকোর্টে গেল।”
উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তার শুনানিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।