মার্কিন নির্বাচন
ট্রাম্প-কমলার ব্যক্তিগত আক্রমণ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে দুই প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী এবার একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শনিবার পেনসিলভানিয়ার এক সমাবেশে অংশ নিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ‘উগ্রপন্থি’ ও ‘উন্মাদ’ বলে উল্লেখ করেন। এদিকে কমলা হ্যারিসও পরোক্ষভাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্ব›দ্বী একজন ‘কাপুরুষ’। বিরোধীদের হেয় করাটাই তার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু।
ভোটযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে গত রবিবার দেয়া বক্তব্যে কমলা হ্যারিস এমন কথা বলেন। পেনসিলভানিয়ার সমাবেশে কমলার সঙ্গে তার রানিং মেট ও মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ ছিলেন। সমাবেশ শেষ করার পর শিকাগোর উদ্দেশে রওনা দেন কমলা। শিকাগোতে গতকাল সোমবার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশন শুরু হয়েছে।
পেনসিলভানিয়ায় সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে কমলা হ্যারিস বলেন, কয়েক বছর ধরে এক ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে যে, একজন নেতা কতটা হেয় করছেন, এর ভিত্তিতেই তার শক্তিমত্তা মাপা হচ্ছে। অথচ সত্যিকার অর্থে তা হওয়ার কথা ছিল না। কমলা বলেন, যে মানুষ অন্য মানুষকে হেয় করতে চান, তিনি কাপুরুষ। তবে তিনি সরাসরি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করেননি।
ট্রাম্প নিজেও গত শনিবার পেনসিলভানিয়ার পূর্বাঞ্চলে সমাবেশে অংশ নেন। সেখানে তিনি কমলা হ্যারিসকে ‘উগ্রপন্থি’ ও ‘উন্মাদ’ বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্প বলেন, কমলাকে হারানোটা ৮১ বছর বয়সি বাইডেনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর গত মাসে নিজ দলের নেতাদের চাপের মুখে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল উইসকনসিন, মিশিগান ও পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্য। ২০২০ সালে পেনসিলভানিয়ায় জন্ম নেয়া বাইডেন এই তিন অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাটদের কব্জায় নিয়ে আসেন। কমলা চাইবেন সেই আধিপত্য ধরে রাখতে।
জনমত জরিপগুলোয় দেখা গেছে, নির্বাচনী প্রচারে নতুন করে গতি এনেছেন কমলা হ্যারিস। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জাতীয়ভাবে এবং পেনসিলভানিয়াসহ ৮টি প্রতিযোগিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে অনেক ব্যবধান মিটিয়ে ফেলেছেন। এটি তাকে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উত্তরসূরি হিসেবে বাছাই করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নভেম্বরের নির্বাচনে জিতলে কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশীয় ঐতিহ্যের কমলা হ্যারিস হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। আগামী বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন গ্রহণ করবেন তিনি। কমলা জানান, আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন গ্রহণের সময় যে বক্তব্য দেবেন, তা প্রস্তুত করে রেখেছেন। একটি রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে অনেক কিছু বলব। এটা হবে নতুন পথ চলা। এই যাত্রায় সবাইকে পাশে চাই।