ইউরোপীয় ইউনিয়নের সতর্কবার্তা: পশ্চিম তীর ‘নতুন গাজা’ হওয়ার পথে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল। ছবি: সংগৃহীত
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সতর্ক করেছেন যে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিম তীরে বাড়তে থাকা সহিংসতা এটিকে ‘নতুন গাজা’য় পরিণত করতে পারে। বোরেল বলেন, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে নতুন একটি ফ্রন্ট খুলেছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো সেখানে সহিংসতা বাড়ানো, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা খর্ব করা এবং উত্তেজনা উসকে দিয়ে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা।
পশ্চিম তীর, ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের দখলে রয়েছে এবং ইসরায়েলি ভূখণ্ডের মাধ্যমে গাজা থেকে আলাদা, সেখানে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই সংঘাতের আগুন জ্বলে উঠেছে। অক্টোবর ৭ তারিখে হামাসের ইসরায়েলে হামলার পর থেকে এই পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে।
কায়রোতে আরব লীগের এক বৈঠকে বোরেল বলেন, ইসরায়েলের কিছু কট্টরপন্থী নেতা পশ্চিম তীরকে পুরোপুরি দখল করার কথা প্রকাশ্যেই বলছেন। তাদের দাবি, এটাই শান্তি স্থাপনের একমাত্র উপায়। তিনি বলেন, যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তবে পশ্চিম তীরও গাজার মতো সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। আর গাজার পরিস্থিতি হবে পশ্চিম তীরের মতো, যেখানে নতুন বসতি স্থাপনকারীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বোরেল বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পরিস্থিতিকে দেখে শঙ্কিত, নিন্দা জানায়, কিন্তু তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে হিমশিম খাচ্ছে।
ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা ‘ইশ দিন’-এর মতে, ২০২৩ সালে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর বসতি স্থাপনের জন্য সবচেয়ে বেশি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক দিন
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী এবং বসতি স্থাপনকারীদের হাতে পশ্চিম তীরে অন্তত ৬৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ফিলিস্তিনি হামলায় অন্তত ২৩ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।