মণিপুরে সহিংসতা বাড়ছে: ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১০ এএম

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের ইম্ফালে জাতিগত সহিংসতা। ছবি: এপি
মণিপুরের চলমান জাতিগত সংঘাতের বিরুদ্ধে ছাত্র বিক্ষোভ সহিংস আকার ধারণ করেছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে ৫ দিনের জন্য ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং কিছু এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা গত ১ সেপ্টেম্বর আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, যার মধ্যে ড্রোন ব্যবহার করে বিস্ফোরক হামলার ঘটনা ঘটে, এবং এতে বেসামরিক লোকজন নিহত হয়। পুলিশের দাবি, এই হামলার পেছনে কুকি বিদ্রোহীদের হাত রয়েছে, যদিও কুকি গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সোমবার মেইতেই সম্প্রদায়ের শতাধিক ছাত্র ড্রোন হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন এবং রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা রাজ্যপালের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে পাথর ও বোতল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে। এতে প্রায় ৪৫ জন আহত হন।
পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মঙ্গলবার ইম্ফল উপত্যকাসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে কারফিউ জারি করা হয় এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়। সরকারি নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার মণিপুরের সব কলেজ বন্ধ থাকবে।
গত বছরও মণিপুরে এক দীর্ঘ সময়ের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল, যা ভারতের অন্যতম দীর্ঘ ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা হিসেবে চিহ্নিত হয়।
সোমবার থৌবাল জেলায় উত্তেজিত জনতা পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং গুলি ছোড়ে। পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগ করছে।
আরো পড়ুন: মনিপুরে ভয়াবহ সংঘাত, ইন্টারনেট বন্ধ
গত বছর থেকে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত অন্তত ২২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং ৬০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। তবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য আসেনি, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপির তরফে।