জাপানের শীর্ষ ১৬০০ কোম্পানিতে নারী সিইও মাত্র ১৩ জন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
জাপানে ব্যবসা ও শিল্পখাতে নারীদের শীর্ষ পদে নিয়োগের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি জরিপে দেখা গেছে, দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ১৩ জন নারী প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের প্রথম শ্রেণির প্রাইম মার্কেটে তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৬৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ০.৮ শতাংশ নারীরা সিইও হিসেবে রয়েছেন। কিয়োডো নিউজ এজেন্সির ২০২৩ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণীর উপর ভিত্তি করে পরিচালিত এই জরিপে এ তথ্য উঠে আসে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
প্রতিবেদনটিতে কিয়োডো নিউজের বরাতে জাপানের কর্পোরেট সিদ্ধান্ত গ্রহণে বৈচিত্র্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ধীরগতির ইঙ্গিত দেয়। সরকারের ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ শীর্ষ নির্বাহী পদে নারীদের নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এই পরিসংখ্যান তার প্রমাণ।
যদিও কিছু ক্ষেত্রে নারী কর্মকর্তাদের সংখ্যা বেড়েছে, তবে শীর্ষ ব্যবসা ও রাজনীতিতে নারীদের উপস্থিতি এখনো তুলনামূলকভাবে কম। ২০২২ সালের একটি ওইসিডি জরিপ অনুযায়ী, জাপানে মাত্র ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্বাহী পদে নারীরা রয়েছেন। যেখানে যুক্তরাজ্যে এ সংখ্যা ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ফ্রান্সে ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ। চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় জাপানের চেয়েও কম নারী নির্বাহী রয়েছেন।
যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কয়েকজন নারীকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবুও জাপানে নারীদের পেশাগত অগ্রগতি ধীরগতিতে এগোচ্ছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মিতসুকো তোত্তোরি জাপান এয়ারলাইন্সের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। ২০২১ সালে তোমোকো ইয়োশিনো রেঙ্গো, জাপানের সবচেয়ে বড় ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন: রাজাপাকসে পরিবারের নতুন কৌশল
এর মধ্যে নতুন জনমত জরিপে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি এলডিপির নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ৩ প্রার্থীর মধ্যে আছেন। এতে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে দেশটির জনগণের সামনে। তবে তাকাইচির রক্ষণশীল মতবাদ, বিশেষ করে সমলিঙ্গ বিবাহ এবং বিবাহিত দম্পতিদের পৃথক নামের বিরোধিতা, তাকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যদের মধ্যে কম জনপ্রিয় করে তুলেছে।