বিরোধীদের অস্ত্র ফেলে আলোচনায় বসতে অনুরোধ জান্তার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির জান্তাবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। দিন যতই যাচ্ছে, মিয়ানমারে ততই সংগঠিত হচ্ছে জান্তাবিরোধী বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী, আর দুর্বল হচ্ছে জান্তা। বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত এলাকার সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি অধিকাংশ সংঘাতে ব্যর্থতার কারণে বেকায়দায় রয়েছে সরকারি বাহিনী। এমন অবস্থায় দেশের সকল অভ্যুত্থানবিরোধী শক্তিকে সশস্ত্র সংগ্রাম ছেড়ে আলোচনায় যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের নেতারা তাদের বিরোধীদের অস্ত্র ফেলে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া নাটকীয় এই প্রস্তাব বেশ দ্রুতই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরো পড়ুন: ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করুন
সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন। এরপর থেকে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল (এসএসি) গঠন করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশ শাসন করে চলেছে। এসএসি এবার সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ)-কে “সন্ত্রাসবাদী পথ” ছেড়ে দিয়ে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ শুরুর আহ্বান জানিয়েছে।
মূলত গত বছরের অক্টোবর থেকে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশ ও শহরের দখল নিতে সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করে। এরপর থেকে এসব গোষ্ঠী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
এই অবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের শুক্রবারের সংস্করণে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল (এসএসি)। প্রকাশিত এই বিবৃতিতে তারা বলেছে, “রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন এবং পিডিএফ সন্ত্রাসবাদীদেরকে দলীয় রাজনীতি বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, যাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদী পথ পরিত্যাগ করে টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে জনগণের সঙ্গে তারা হাত মেলাতে সক্ষম হয়।”
তবে আলোচনার এই প্রস্তাব বেশ দ্রুততার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি)। এই গোষ্ঠীর মধ্যে অভ্যুত্থানে অপসারিত নির্বাচিত আইনপ্রণেতারাও অন্তর্ভুক্ত আছেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের মতে, প্রস্তাবটি বিবেচনার মতো নয় বলে জানিয়েছেন এনইউজির মুখপাত্র নে ফোন ল্যাট।