ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে মন্তব্য করলো মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৪ এএম

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় সংঘাতের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আল-জাজিরার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে উদযাপন বা আনন্দ করার সময় নয়, বরং এই পরিস্থিতিকে শান্ত করার সময় এসেছে।
বিশারা সতর্ক করে বলেন, ইতোমধ্যেই গাজা ও লেবাননে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যদি যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় শক্তিগুলো সংঘাতে লিপ্ত হয়, তাহলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সমন্বয়ের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ইরানে অন্তত ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তিনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং তাদের যৌথ প্রতিরক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান এই হামলায় মধ্য-মাঝারি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। যদিও ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, তারা নতুন ফাতাহ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এই দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
গাজার খান ইউনিসে একটি বিমান হামলায় সাংবাদিক আহমেদ আল-জার্দের পরিবারে ৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন এবং তিনি নিজেও গুরুতর আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী আহতদের সাহায্যে করতে বাধা দিয়েছিল, যা পরিস্থিতি আরো মারাত্মক করে তোলে।
সংঘাতের এই আবহে, কয়েকজন রিপাবলিকান কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের বিরুদ্ধে হামলার আহ্বান জানিয়েছেন। সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, ইরানের তেল শোধনাগারগুলোর উপর হামলা চালাতে হবে। সিনেটর মারকো রুবি বলছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ‘সরাসরি ও অনুপাতিক’ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
আরো পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত
সাম্প্রতিক সময়ের এই ঘটনাবলী পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। এর ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।