ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম

ছবি: সিএনএন
ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে না, এমন কোনো নিশ্চয়তা যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়নি। সিএনএনকে এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা। ইরানের সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল এই পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ওই কর্মকর্তা।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সিএনএন-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল কী করবে, তা বলা সত্যিই কঠিন। আমরা আশা করি তারা কিছু বিচক্ষণতা এবং শক্তি প্রদর্শন করবে, তবে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এই সপ্তাহের শুরুতে ইরান ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এসময় যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়। তবে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হওয়া উচিত নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাইডেন বলেন, আমি ইসরায়েলের জায়গায় থাকলে, আমি তেলের খনিতে হামলা করার পরিবর্তে অন্য কোনো বিকল্প নিয়ে চিন্তা করতাম।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরো জানান, ইসরায়েল তার প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঠিক কখন নেবে, তা এখনো পরিষ্কার নয় এবং তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না বলেও দেশটি জানিয়েছে।
সিএনএন-এর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল হয়তো হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার বার্ষিকীতে ইরানকে টার্গেট করতে চাইবে না। তিনি যোগ করেন, ‘আমার মনে হয়, তারা ৭ তারিখ (গুরুত্বপূর্ণ দিন) এড়াতে চাইবে, তাই কোনো পদক্ষেপ নিতে হলে সম্ভবত এই তারিখের আগে বা পরে কিছু করবে।’
মার্কিন প্রশাসন গত এক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান এই সংঘাতকে আরো বড় আকারে ছড়িয়ে পড়া থেকে রোধ করার চেষ্টা করছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, এটি এখন একেবারে খাদের প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, মার্কিন কর্মকর্তারা ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সাথে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টার মতো যোগাযোগ করছেন। মার্কিন উপ-পররাষ্ট্র সচিব কুর্ট ক্যাম্পবেল বুধবার বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগের লাইনগুলো খোলা রাখার জন্য এবং একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার জন্য বড় ধরনের প্রচেষ্টা চলছে।
ক্যাম্পবেল আরো বলেন, ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়া নিয়ে শুধু ইসরায়েল নয়, যুক্তরাষ্ট্রও ভাবছে। আমাদের প্রধান বার্তা হলো, ইরানকে নিয়ে আমরা যা কিছু করি, তা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করা উচিত।
আরো পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় স্ত্রী-সন্তানসহ হামাসের কমান্ডার নিহত
ইসরায়েলের ইরানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার সম্ভাবনা নিয়ে বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, এ ধরনের পদক্ষেপ গোটা অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাতের কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।