ইউএর গণতন্ত্রের মান নিয়ে শঙ্কায় মানবাধিকার সংগঠনগুলো

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৭ পিএম

ইউরোপিয়ান সিভিল লিবারটিজ নেটওয়ার্কের নিয়মনীতি বিশেষজ্ঞ ভিক্টর কাজাই। ছবি: সংগৃহীত
ইউরোপীয় কমিশনের বার্ষিক গণতন্ত্র মান পরীক্ষা অত্যন্ত ইতিবাচক এবং কার্যকরী নয় বলে মন্তব্য করেছে ইউরোপের একটি মানবাধিকার সংগঠন। তাদের মতে, এই রিপোর্টটি কোনো ধরনের প্রয়োগের ব্যবস্থা না থাকার কারণে মূলত অকার্যকর।
ইউরোপীয় কমিশন ৫ বছর আগে এই বার্ষিক নিয়মনীতি প্রতিবেদন চালু করে, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে গণতন্ত্রের অবক্ষয়, দুর্নীতি, স্বাধীন গণমাধ্যম এবং বিচার ব্যবস্থায় আক্রমণের বিরুদ্ধে একটি প্রধান হাতিয়ার হিসেবে প্রস্তাবিত হয়।
কিন্তু ইউরোপিয়ান সিভিল লিবারটিজ নেটওয়ার্ক, যা সারা ইউরোপে মানবাধিকার সংস্থার একটি জোট, সোমবার তাদের প্রতিবেদনে কয়েকটি ‘গুরুতর ঘাটতি’ তুলে ধরে এবং তারা সতর্ক করেছে যে, কমিশন যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয় তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আইনের শাসন রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
ইউরোপিয়ান সিভিল লিবারটিজ নেটওয়ার্কের নিয়মনীতি বিশেষজ্ঞ ভিক্টর কাজাই বলেন, ‘কমিশনের বার্ষিক রিপোর্ট অবশ্যই ভায়োলেশণ লঙ্ঘন শনাক্ত করতে সহায়ক, এটি মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে কার্যকর। তবে যেহেতু কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেই, এটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুরোপুরি অকার্যকর।’
কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালের রিপোর্টে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬৮ শতাংশ নিয়মনীতি সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়েছে বলে দাবি করা হলেও, সিভিল লিবারটিজ নেটওয়ার্ক দাবি করেছে, প্রকৃতপক্ষে এই সুপারিশগুলির মধ্যে অনেকগুলো আগেই ঘোষিত হয়েছিল এবং সেগুলির অনেকগুলো এখনও অসম্পূর্ণ। তাদের মতে, এই বাস্তবায়নের হার শুধুমাত্র ১৯ শতাংশ।
বিশেষ করে বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, মালটা, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ার মতো দেশগুলোতে এই সুপারিশগুলির কোনো বাস্তবায়ন হয়নি, যা গণতন্ত্রের মান কমিয়ে আনছে।
তারা আরো বলেন, ইউরোপীয় কমিশন মাঝে মাঝে অগ্রগতি দেখানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আশাবাদী হয় এবং যখন প্রকৃত অগ্রগতি দেখা যায়নি তখন তা বিবেচনায় নেয় না।
এদিকে, কমিশনের নতুন বিচার বিষয়ক কমিশনারের মিশন চিঠিতে শোনা গেছে যে, রিপোর্টের সাথে প্রয়োগের ব্যবস্থার আরো নিবিড় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছেন, যা আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে বাস্তবায়িত হবে। তবে মানবাধিকার সংস্থাটি মনে করে, আরো দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে আশ্রয় সাময়িকভাবে বন্ধ
‘আইনের শাসন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কিছু সরকারের মাধ্যমে এবং আগামী কমিশনকে অবশ্যই আরও কার্যকরী হতে হবে,’ বলেন কাজাই। ‘১৪ বছর হয়ে গেছে এই আইনি সংকট শুরু হওয়ার, আর অপেক্ষা করা যাবে না।’