প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত 'দানা': ১১ লাখ মানুষকে সরালো ওড়িশা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম

ঘূর্ণিঝড় দানা শুক্রবার ভোরে মধ্যে ভিতরকনিকা ন্যাশনাল পার্ক এবং ধামরা বন্দরের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। ছবি: পিটিআই
ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, যা এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। র্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত এ ঘূর্ণিবায়ুর চক্রটির বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার, যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, যদিও ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা বাংলাদেশে তেমন লাগবে না, তবে এটি উপকূলীয় এলাকা এবং সারা দেশজুড়ে বৃষ্টি ঝরাবে।
ওড়িশার রাজ্য সরকার ঝড়ের আগমন এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জরুরি প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে রাজ্যের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে স্থায়ী ও অস্থায়ী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রাজ্যের কর ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক মন্ত্রী সুরেশ পূজারী জানিয়েছেন, বাকিদেরও বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরের মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরানো হবে।
সুরেশ পূজারী জানায়, রাজ্যের ১৪টি জেলার ৩ হাজারেরও বেশি গ্রাম ও এলাকা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সরকার এই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত কার্যক্রম চালাচ্ছে। আইএমডির (ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় দানা শুক্রবার ভোরের দিকে ভিতরকনিকা ন্যাশনাল পার্ক এবং ধামরা বন্দরের মধ্যবর্তী স্থানে আছড়ে পড়তে পারে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার হতে পারে।
আইএমডি ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় ভারি বৃষ্টি, ঝড়ো বাতাস এবং ঢেউ শীর্ষে পৌঁছাবে। তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় দানা স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ২ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসসহ রাজ্যটিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এমনটা ঘটে, তবে ওড়িশা একটি বহুমুখী বিপদের সম্মুখীন হতে পারে।
এদিকে, রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে রাজ্যের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী ৩ থেকে ৪ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
রাজ্য সরকারের তৎপরতার মাধ্যমে মানুষের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হবে এবং প্রয়োজন হলে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।