গাজা যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার ইঙ্গিত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টবোর) জানিয়েছে, দেশের গোয়েন্দাপ্রধান গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নিবেন। একইসঙ্গে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসও যুদ্ধবিরতির চুক্তির ক্ষেত্রে লড়াই বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে গাজা যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টায় গতি আসার ইঙ্গিত ইসরায়েল ও হামাসের এই নতুন অবস্থানে পাওয়া যাচ্ছে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে আগের অনেক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তবে এখন উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী।
গত সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলি সেনারা হত্যা করে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে। এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিনওয়ার হত্যাকাণ্ড একটি চুক্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারে।
হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, সংগঠনটির দোহাভিত্তিক প্রতিনিধিদল কায়রোতে মিসরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ‘ধারণা ও প্রস্তাব’ নিয়ে আলোচনা করেছে। তিনি আরো বলেন, হামাস যুদ্ধ বন্ধের জন্য প্রস্তুত, তবে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফেরার সুযোগ দেয়া, বন্দিবিনিময় চুক্তিতে রাজি হওয়া এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেয়া।
হামাসের এই কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য মিসরের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কায়রোর বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর মিসরের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন। কায়রো বৈঠকের পর নেতানিয়াহু ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানকে আগামী রোববার কাতারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে আলোচ্যসূচিতে থাকা একাধিক উদ্যোগকে এগিয়ে নেয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার আগে জানিয়েছিল, কাতারের রাজধানী দোহায় গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা আবার শুরু হবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হয়, যখন হামাস ইসরায়েলে প্রাণঘাতী হামলা চালায়। এই হামলায় ১ হাজার ২০৬ জন নিহত হয় এবং হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে, যার ফলে এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ৮৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।