ত্রিপুরায় বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হলো সব হোটেল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ এএম

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার আগরতলায় সহকারী বাংলাদেশ হাই কমিশনে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ছবি: ইন্টারনেট
বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সব হোটেল বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় হোটেল মালিকরা। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক টানাপোড়নের মধ্যে উত্তরপূর্ব রাজ্যের ট্রাভেল সেক্টরের সংগঠন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য হোটেল রুম বুকিং বাতিলের পাশাপাশি রেস্টুরেন্টেও খাবার সরবরাহ করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। অল ত্রিপুরা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট মালিক সংগঠন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর: এনডিটিভির।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত নির্যাতন এবং বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে হোটেল অ্যাসোসিয়েশন।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের অভিযোগ এবং সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে তা ছেড়া ও তাতে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটে। প্রায় ৫০ এর অধিক লোকজন ঢুকে আগরতলার বাংলাদেশি দূতাবাসে হামলা চালায়। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
আরো পড়ুন: মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্য খুব সুষ্ঠু পদক্ষেপ না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে থাকা বাংলাদেশের হাইকমিশন, ডেপুটি হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সৈকত ব্যান্যার্জী বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন এবং চিন্ময় প্রভুকে অকারণে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজ্যের সব হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। তবে, যারা আগে থেকে হোটেলের পরিষেবা নিচ্ছেন তাদের শুধু থাকতে দেয়া হবে। অন্যদের পরিষেবা দেয়া হবে না।
এদিকে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী দূতাবাসে হামলার ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়, পতাকা টাঙানোর পুল ভেঙে ফেলে এবং জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়।