ভুল সিদ্ধান্তে অনুশোচনায় ভুগছেন বাইডেন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ এএম

জো বাইডেন
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েকমাস আগে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষ থেকে কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণা করেন। তবে বর্তমানে বাইডেন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসন সরাসরি কমলা হ্যারিসকে দোষারোপ করেনি। তবে ডেমোক্র্যাটিক দলের অনেক সদস্যের মতে, যদি বাইডেন নিজে নির্বাচনে অংশ নিতেন তাহলে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সহজেই হারিয়ে দিতে পারতেন। বাইডেন তার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মেরিক গারল্যান্ডকে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও অনুতপ্ত। শুধু বাইডেনই নয়, অনেক ডেমোক্র্যাটের মধ্যেও ধারণা রয়েছে যে, এটি বাইডেনের একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার পর, বাইডেন মেরিক গারল্যান্ডকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেন। তবে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, গারল্যান্ড ৬ জানুয়ারির ঘটনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের বিষয়ে সঠিক সময়ে তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের মতে, যদি গারল্যান্ড ট্রাম্পকে সঠিক সময়ে দোষী সাব্যস্ত করতে পারতেন, তবে নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয় আরো সহজ হতে পারত।
এদিকে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষাণকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উপদেষ্টা হিসেবে বাছাই করার পর থেকেই ট্রাম্প শিবিরে তৈরি হয় মতানৈক্য। ট্রাম্পের সমর্থক লরা লুমার ও ম্যাট গাৎজের মতো ডানপন্থিরা কৃষাণের বিরোধিতা করেছেন। অপরদিকে তার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামী। এসবের মধ্যেই নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইলন মাস্ক পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
শনিবারা মার্কিন গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বাইরের দেশ থেকে দক্ষকর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান দেয়ার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বাইরের দেশের উচ্চ শিক্ষিত ও বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত এইচ-ওয়ান বি ভিসার প্রতি সমর্থন জানান ট্রাম্প।