হাসিনা-ঘনিষ্ঠ আরো এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফ্ল্যাট নিয়েছেন টিউলিপ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তবে ওই ফ্ল্যাটের বিনিময়ে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয়নি তাকে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ওই ব্যবসায়ীর।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এবার তার একদিন না যেতেই যুক্তরাজ্যের আরেক পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, টিউলিপ তার খালার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত আরো একজন ব্যক্তির কাছ থেকে ফ্ল্যাট নিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ফ্ল্যাটটি সরাসরি টিউলিপ সিদ্দিককে দেয়া হয়নি। এটি দেয়া হয়েছিল তার ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তিকে। তার ছোট বোন আজমিনার বয়স যখন ১৮ বছর এবং অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শুরু করতে চলেছেন তখন উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডে আজমিনাকে ফ্ল্যাট উপহার দেন মঈন গনি নামের একজন বাংলাদেশি আইনজীবী। যিনি হাসিনার সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঈন গনির একটি ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। মঈন ২০০৯ সালে আজমিনার কাছে ফ্ল্যাটটি হস্তান্তর করেন।
লন্ডনের ভূমি রেজিস্ট্রি নথিতে বলা হয়েছে, আজমিনার কাছে ফ্ল্যাটের স্থানান্তরটি আর্থিক মূল্যে হয়েছে এমন রেকর্ড নেই ভূমি রেজিস্ট্রি নথিতে। তবে একসময় ঐ ফ্ল্যাটটিতে থাকতে শুরু করেন টিউলিপ সিদ্দিক।
টিউলিপ ঠিক কখন ফ্ল্যাটে এসেছিলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে ২০১২ সালে ডিসেম্বরের পরে তিনি যখন ওয়ার্কিং মেনস কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে নিয়োগে পেয়েছিলেন, তখন কোম্পানি হাউসে তার ঠিকানা হিসেবে ঐ ফ্ল্যাটটির ঠিকানা তালিকাভুক্ত করেছিলেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ক্যামডেন আর্টস সেন্টারের দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং মার্চ ২০১৪-এ হ্যাম্পস্টেড ওয়েলস এবং ক্যাম্পডেন ট্রাস্ট, আরেকটি অলাভজনক ট্রাস্টি হওয়ার ক্ষেত্রেও এই ফ্ল্যাটের ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন টিউলিপ।
টিউলিপের স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সিও ২০১৬-এর শেষের দিকে এটিকে তার ঠিকানা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন। সেই সময় পর্যন্ত সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের লেবার এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে আজমিনা পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে ৬৫০,০০০ পাউন্ডে এ বাসস্থান বেচে দেন। আজমিনার এই ফ্ল্যাটটির ব্যাপারে টিউলিপ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, তিনি কিছু সময় তার বোনের ফ্যাটটিতে থেকে ছিলেন।