প্রেম করে বিয়ে করতে চেয়ে বাবার হাতে মেয়ে খুন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৭ এএম

ছবি : সংগৃহীত
ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা ভিকাম ‘ভিকি’ মাওয়াই নামের ওই ব্যক্তির সঙ্গে ৬ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল তানুর। গোয়ালিয়রে পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে চাওয়ায় নিজের ২০ বছরের মেয়েকে গুলি করে হত্যা করল এক বাবা। পুলিশ অফিসারদের উপস্থিতিতেই এ খুন করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিয়ের ৪ দিন এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, মেয়ে তানু গুর্জর অমতে তার পরিবার বিয়ের আয়োজন করেছিল। তানু সেই বিয়ের বিরোধিতা এবং নিজের পছন্দের একজনকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পুলিশ সূত্রের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, তানু গুর্জর মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওবার্তা পোস্ট করেছিলেন। তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ভিকিকেই বিয়ে করতে চাই। আমার পরিবার প্রথমে রাজি হলেও এখন অস্বীকার করছে। তারা আমাকে প্রতি দিন মারধর করেন। আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। আমার কিছু হয়ে গেলে সে জন্য দায়ী থাকবে আমার পরিবার।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা ভিকাম ‘ভিকি’ মাওয়াই নামের ওই ব্যক্তির সঙ্গে ৬ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল তানুর।
ভিডিওটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ তানুর বাড়িতে ছুটে যায়। একটি কমিউনিটি পঞ্চায়েত সভা বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিলেন। এক পর্যায়ে পুলিশের সামনে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এ সময় তানুর বাবা তার সঙ্গে একান্তে কথা বলার অনুরোধ করেন।
পরে মেয়েকে ভেতরের একটি ঘরে নিয়ে যান বাবা মহেশ গুর্জর। সঙ্গে যান ভাই রাহুল। এরপর পুলিশকর্তাদের উপস্থিতিতেই মেয়েকে গুলি করেন তারা। তানুর বুকে, কপালে ও ঘাড়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
এরপর পিস্তল নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হন মহেশ ও রাহুল। মহেশকে গ্রেপ্তার করা হলেও রাহুল পালিয়ে যান। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।