বাংলাদেশের নির্বাচন ও সীমান্ত নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানালো ভারত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ভারত। পাশাপাশি সীমান্ত বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্তব্য নিয়েও কিছু বলেনি দেশটি। তবে উভয় বিষয়েই নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে নয়াদিল্লি সরকার।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ দুই ব্যাপারে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন নিয়ে ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেত্তির মন্তব্য উল্লেখ করে জিজ্ঞাসা করা হয়, বাংলাদেশের মধ্যেও দ্রুত নির্বাচনের দাবি উঠেছে। এ নিয়ে ভারতের মনোভাব কী?
তবে দ্রুত নির্বাচনের প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেননি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত কী ধরনের সম্পর্ক চায়, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
মুখপাত্র বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সম্প্রতি বাংলাদেশে গিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে এসেছেন, ভারত ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই এগোতে চায়। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারত সুসম্পর্ক চায়, যাতে দুই দেশের জনগণের কল্যাণকর হয়।
জয়সোয়াল বলেন, এটাই আমাদের মনোভাব। বাংলাদেশকে বারবার তা জানানো হয়েছে। এই মনোভাব ইতিবাচক এবং এই মনোভাবই বহাল থাকবে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর সীমান্ত এলাকায় কিছু অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া নিয়ে উত্তেজনাও ছড়িয়েছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এ নিয়ে সজাগ। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সীমান্ত চুক্তি পর্যালোচনার কথা শুনিয়েছিলেন। বিষয়টির উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়, দুই দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে সরকারের করা চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানিয়েছে কি না?
জবাবে মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের অস্থায়ী হাইকমিশনারকে ডেকে ভারতের মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে বলে দেয়াও হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে, সীমান্ত অপরাধমুক্ত রাখতে ভারত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সে জন্য আন্তসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলার ক্ষেত্রে কোনো ঢিলেমি দেয়া হবে না। পণ্যের চোরাচালান, মানুষ ও গরু পাচার বন্ধে সীমান্তে বেড়া দেয়া, আলোর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির সাহায্য নেয়া হবে।
জয়সোয়াল বলেন, ভারত চায় এই বিষয়ে আগে যে বোঝাপড়া হয়েছিল তা কার্যকর করা হবে। সীমান্ত অপরাধমুক্ত রাখতে বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতার ভিত্তিতে অতীতের সব বোঝাপড়া কার্যকর করুক, এটাই ভারতের আশা করে।