মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হলো ইলন মাস্কের স্টারশিপ রকেট

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৫ এএম

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরেই মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এ রকেটের পরীক্ষা চালানো হয়। উৎক্ষেপণের স্বল্পসময়ের মধ্যেই এতে ত্রুটি দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন স্পেসএক্সের কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জেফ বেজোসের মহাকাশ প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি নিউ গ্লেন নামের রকেটের প্রথম সফল উৎক্ষেপণের কয়েক ঘণ্টা পর ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানের স্টারশিপ রকেটের ওই পরীক্ষা চালানো হয়। ফ্লোরিডার ক্যাপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে ব্লু অরিজিনের রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
মহাকাশযানের বাজারে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন দুই ধনকুবের মাস্ক ও বেজোস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক বার্তায় স্পেসএক্স জানায়, উৎক্ষেপণের পর দ্রুতই অনির্ধারিতভাবে স্টারশিপ রকেটটি ভেঙে পড়ে। উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণ আরো ভালোভাবে বুঝতে সংশ্লিষ্ট দলগুলো ফ্লাইট পরীক্ষার তথ্য পর্যালোচনা করবে।
স্পেসএক্স বলেছে, ‘আমরা এ ধরনের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যা শিখি, তা থেকেই সাফল্য আসে এবং আজকের উৎক্ষেপণ স্টারশিপের নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে আমাদের সহায়তা করবে।’
এ উৎক্ষেপণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, মাঝ আকাশে একটি রকেট বিস্ফোরিত হয়ে ভেঙে পড়ছে। তবে এ ফুটেজের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
ওই ঘটনায় রকেট উৎক্ষেপণের ছবি যুক্ত করে ইলন মাস্ক এক্সে লেখেন, ‘সাফল্য অনিশ্চিত, তবে বিনোদন নিশ্চিত।’
একই সঙ্গে রকেটের উন্নত সংস্করণ ইতোমধ্যে উৎক্ষেপণের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্পেসএক্সের সরাসরি সম্প্রচারের তথ্য বলছে, স্টারশিপ রকেটের উৎক্ষেপণে ৭২ লাখের মতো ভিউ হয়েছে। টেক্সাসের বোকা চিকা এলাকা থেকে গতকাল স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে এ রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি ছিল স্পেসএক্সের রকেটের সপ্তম পরীক্ষা।
উৎক্ষেপণের প্রায় চার মিনিট পর রকেটটির ওপরের অংশ এটির ‘সুপার হেভি’ বুস্টার থেকে পরিকল্পনামতো বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু এর পরপরই ওপরের অংশটিতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং মিশন টিমের কাছ থেকে রকেটটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বলে জানান স্পেসএক্সের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক ড্যান হিউঅট।
তবে উৎক্ষেপণের প্রায় সাত মিনিট পর সুপার হেভি বুস্টার (রকেটের নিচের অংশ) পরিকল্পনা অনুযায়ী উৎক্ষেপণস্থলে ফিরতে সক্ষম হয়।
এদিকে, মার্কিন কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন প্রশাসন (এফএএ) বলেছে, স্পেসএক্স মিশনের রকেট উৎক্ষেপণে বিপত্তি দেখা দেয়ার ঘটনাটি অবগত ছিল তারা। পরে যেখানে রকেটের ধ্বংসাবশেষ পড়ছিল, সে এলাকা থেকে উড়োজাহাজগুলোকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়।