সাইফ আলি খানের ওপর হামলার দায় স্বীকার শরিফুলের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পাতোদি প্যালেসে ডাকাতির চেষ্টা ও সাইফ আলি খানের ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদ।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে সাইফ আলি খানের বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ধরা পড়েন হামলাকারী শরিফুল। তাকে ওই দিনই বান্দ্রা আদালতে পেশ করা হয়। জেরার মুখে অবশেষে দোষ স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শরিফুল। বলেছেন, ‘হ্যাঁ আমিই করেছি।’ তার বর্ণনা অনুযায়ী, পাতোদি প্যালেসে ডাকাতির চেষ্টা তিনিই করেন। সাইফের হামলাকারীও তিনি।
জেরার মুখে শরিফুল আরো জানিয়েছেন, তিনি পাতোদি প্যালেস সম্পর্কে একেবারেই ওয়াকিবহাল ছিলেন না। তিনি জানতেন না যে, সাইফ আলি খানের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছেন। এমনকি, অভিনেতাকে পর্যন্ত চিনতেন না। তিনি পরে জানতে পারেন, যাকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা। অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর পাশাপাশি, ঘটনা পুনর্নির্মাণেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সে ক্ষেত্রে আক্রমণকারীকে ফের পাতোদি প্যালেসে নিয়ে যাবে পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, বৈধ নথিপত্র ছাড়াই ভারতে বসবাসকারী শরিফুল গত পাঁচ মাস ধরে এলাকার বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছিলেন। এরই মধ্যে ওরলি এবং ঠানে এলাকার দুটি রেস্তোরাঁ-পাব ও হোটেলে শরিফুলের কাজ করার কথা জেনেছে পুলিশ। জানা গেছে, ওরলি এলাকার রেস্তোরাঁয় চুরির অভিযোগ উঠেছিল শরিফুলের বিরুদ্ধে। সে কারণে তার চাকরিও গিয়েছিল গত আগস্টে। শনিবার দুই রেস্তোরাঁয় হানা দেয় প্রশাসন। সাইফের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও ওই দুই রেস্তোরাঁ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় পুরনো সাফাইকর্মীদের।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওরলির ওই রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জানান, যে ঠিকাদারের কাছ থেকে তারা কর্মী ভাড়া নেন, সেই ঠিকাদারকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তারা জানতে পেরেছেন, চুরির অভিযোগে শরিফুলকে বরখাস্ত করার পরও ওই ঠিকাদার তাকে কর্মী আবাসনে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। শনিবার পুলিশ তদন্তে যাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার ভোরে ঠানে থেকে গ্রেপ্তার হন শরিফুল। বান্দ্রা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও ধৃতের আইনজীবী সন্দীপ শেরানির দাবি, তার মক্কেল যে বাংলাদেশের নাগরিক, এমন কোনো প্রমাণ পুলিশের হাতে নেই। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যা বা প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার মতো কোনো অভিযোগও পুলিশ আনতে পারেনি।