গ্রিনল্যান্ড দখল করতে চান ট্রাম্প, ডেনিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উত্তপ্ত ফোনালাপ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১১ এএম

ছবি: সংগৃহীত
গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করতে মরিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেনমার্কের মালিকানাধীন এই দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে উত্তপ্ত ফোনালাপ করেছেন তিনি।
মার্কিন গণমাধ্যম দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস-এর বরাতে জানা গেছে, এই ফোনালাপ চলাকালে ৪৫ মিনিট ধরে ট্রাম্প মেটে ফ্রেডেরিকসেনকে কথিত ‘হুমকি-ধামকি’ দেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের কথা বলার ধরন ছিল ‘ভয়ঙ্কর’।
গ্রিনল্যান্ড উত্তর আমেরিকা মহাদেশের একটি আধা স্বশাসিত দ্বীপ, যা ভূরাজনৈতিকভাবে ডেনমার্কের অংশ। যদিও ভৌগোলিকভাবে এটি উত্তর আমেরিকার কাছাকাছি, কিন্তু এটি কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
ট্রাম্পের এই উদ্যোগ নিয়ে ডেনমার্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ডেনমার্কের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির প্রশ্নই আসে না। এদিকে ট্রাম্পের এমন পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই ট্রাম্প জানিয়ে আসছেন, তিনি গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করতে চান। তার মতে, বৈশ্বিক নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা অত্যন্ত জরুরি।
এতে আরো বলা হয়, গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কথা বলতেই ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন ট্রাম্প। তিনি ফোনে স্পষ্ট করে দেন গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করা তার কাছে ‘গুরুত্বপূর্ণ’। কিন্তু ফ্রেডেরিকসেন তার কথা নাকচ করে দেন। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীও বুঝিয়ে দেন, খনিজ সম্পদে ভরা দ্বীপটি ‘বিক্রি’ করতে তারা একেবারেই আগ্রহী নন।
ফ্রেডেরিকসেন গ্রিনল্যান্ড ‘বিক্রি’ করতে রাজি না হওয়ায় চটে যান ট্রাম্প। অভিযোগ, ফোনের মধ্যেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তিনি এবং একটি পর্যায়ে তা সংঘাতের পর্যায়ে পৌঁছায়।
ইইউর কর্মকর্তারা জানান, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে ফ্রেডেরিকসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। তিনি আধা স্বশাসিত দ্বীপটিতে সম্পূর্ণ ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘(ট্রাম্পের কথা বলায়) কঠোরতা ছিল। সেগুলো যেন হিমশীতল ধারার মতো ছিল। যদিও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে ইইউর কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।