ট্রাম্পের মনোনীত পাম বন্ডি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ফ্লোরিডা রাজ্যের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে নতুন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত মার্কিন সিনেট। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বে আসছেন।
বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ৫৪-৪৬ ভোটে সিনেট বন্ডির নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে। এই নিয়োগ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিচার বিভাগে আরও প্রভাব বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি করবে, বিশেষত যখন ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হামলা তদন্তে যুক্ত কিছু প্রসিকিউটর ও এফবিআই এজেন্টদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর জন ফেটারম্যান ৫৩ রিপাবলিকান সিনেটরের সঙ্গে যোগ দিয়ে বন্ডির পক্ষে ভোট দেন। বন্ডি, যিনি ৫৯ বছর বয়সী, গত মাসে একটি নিশ্চিতকরণ শুনানিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বজায় রাখবেন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন না। তবে আইনপ্রণেতারা উদ্বিগ্ন, বিশেষত যখন ট্রাম্প অবৈধ বা অনৈতিক আদেশ দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে বন্ডি তার পদক্ষেপ কীভাবে নেবেন।
২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে অভিযোগ করেন, ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে, এবং অ্যাটর্নি জেনারেলকে এই সব কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দেন।
বন্ডি, যিনি এক দশকেরও বেশি সময় প্রসিকিউটর হিসেবে কাজ করেছেন, ২০২০ সালের প্রথম অভিশংসন বিচার চলাকালীন ট্রাম্পের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট কারচুপির কিছু অসত্য দাবি সমর্থন করার অভিযোগ রয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জানা গেছে, বন্ডি ট্রাম্পের মিডিয়া কোম্পানি "ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ"-এ শেয়ারধারী, যা তার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
বন্ডি ছিলেন ট্রাম্পের দ্বিতীয় পছন্দ। তার প্রথম পছন্দ, সাবেক কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ, হাউস ইথিক্স কমিটির প্রতিবেদনে নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও মাদকের বিনিময়ে অর্থ প্রদান এবং কংগ্রেসের তদন্ত বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ ওঠার পর মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
তবে, মঙ্গলবার সিনেট কমিটি ট্রাম্পের আরো দুটি বিতর্কিত মনোনয়ন—রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং তুলসি গ্যাবার্ডকে জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে নিশ্চিত করার বিষয়ে অগ্রগতি দেখিয়েছে।