বিক্ষোভকারীদের কঠোর শায়েস্তার হুমকি জান্তা সরকারের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৭:১০ পিএম

মিয়ানমারে সাঁজোয়া যানের টহল উপেক্ষা করে চলছে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভ
মিয়ানমারে বিক্ষোভ দমাতে অভ্যুত্থান বিরোধীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে জান্তা সরকার। সেনাবাহিনী বলেছে, সশস্ত্র বাহিনীকে বাধা দিলে তাদের ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। সেনা অভ্যুত্থানের নেতাদের প্রতি মৌখিক বা লিখিত বাক্যের মাধ্যমে বা কোনো চিহ্ন বা দৃশ্যমান কিছু উপস্থাপনের মাধ্যমে ‘ঘৃণা বা অবজ্ঞা’ উস্কে দিলে দীর্ঘমেয়াদে জেল-জরিমানা হবে। আগের দিন একটি পাওয়ার প্ল্যান্টে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালিয়েছে। এদিকে ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু কির রিমান্ডের মেয়াদ প্রাথমিকভাবে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ধারণা করা হলেও তা ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রি সু কির নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে দেশের ক্ষমতা হাতে তুলে নেয় সেনাবাহিনী। এরপর চলতে থাকে গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভ। অভ্যুত্থানের দুই সপ্তাহ পর আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কয়েকটি শহরে সাঁজোয় যান নামানো হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আইন সংস্কারের এ ঘোষণা আসে। সোমবার সেনাবাহিনীর একটি ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের দায়িত্বপালনে বাধা দেওয়া লোকজনের সাত বছরের জেল হতে পারে, এর পাশাপাশি যারা শঙ্কা বা অস্থিরতা উস্কে দিয়েছেন বলে দেখা যাবে তাদের তিন বছরের জেল হতে পারে।
শহরগুলোর রাস্তায় সাঁজোয়া যান মোতায়েনের পর সোমবারও প্রতিবাদে অংশ নেয় গণতন্ত্রপন্থিরা। তবে এ দিন অন্য দিনের তুলনায় লোকজনের উপস্থিতি কম ছিল। বিক্ষোভকারীরা আগের মতোই অং সান সু কির মুক্তি ও সেনাশাসন অবসানের দাবি জানিয়েছেন।
গণবিক্ষোভ দমনে শনিবার রাত থেকেই সামরিক জান্তা আমলের একটি আইন পুনরায় জারি করা হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী, রাতে বাড়িতে কোনো অতিথি এলে কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে। ওই আইনের বলে নিরাপত্তা বাহিনী আদালতের অনুমতি ছাড়াই সন্দেহভাজন যে কাউকে গ্রেপ্তার ও নাগরিকদের বাড়ি তল্লাশি করতে পারবে।
কয়েকদিন ধরেই দেশটির রাজধানী নেপিদো, বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়সহ বহু শহরে লাখোমানুষ বিক্ষোভ করে আসছে।