অধিকারের আদিলুর ও এলানের সাজা বাতিল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও সংগঠনটির পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানের সাজা বাতিল করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অধিকার’-এর নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি মো. আব্দুর রবের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের সাজা বাতিলের এ রায় দেন। আদালতে আদিলুর-এলানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন ভুঁইয়া।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারার মামলায় মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও অধিকারের পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে নিম্ন আদালতের দেয়া দুই বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেন আদালত।
এর আগে ২০১৩ সালে ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের দশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও দেন আদালত। এটিই তথ্যপ্রযুক্তি আইনের প্রথম মামলা ছিল।
আরো পড়ুন: যুক্তরাজ্যে টাকা পাচার মামলা, খালাস পেলেন বিএনপি নেতা মোশাররফ
এদিকে আজই এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অধিকার’-এর নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন ভুঁইয়া।
এর আগে ২০২২ সালের ৬ জুন এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অধিকার’-এর নিবন্ধন বাতিল করা হয়। ব্যুরোর এক আদেশে সংস্থাটির নিবন্ধন নবায়ন আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়। দীর্ঘদিন সুরাহার অপেক্ষায় থাকার পর অবশেষে সংস্থাটি নিবন্ধন হারায়। তারও আগে, ২০১৮ সালে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবেও অধিকারের নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
অধিকারের নিবন্ধনের মেয়াদ ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ শেষ হয়। সংস্থাটি নিবন্ধন নবায়নের আবেদন করলেও তা দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল।