আদালতেও প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন ফারজানা রুপা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম

আদলতে সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা রুপা এবং শাকিল আহমেদ।
গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের ৭ দিনের ও একাত্তর টেলিভিশন থেকে চাকরিচ্যুত প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপা ও হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টা ১৩ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালতে তাদের উপস্থিতিতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আদালত আসামিদের বক্তব্য শুনতে চাইলে আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন। তখন আদালত বলেন, এক মিনিটে কথা শেষ করবেন। গোলাপ কথা বলা শুরু করেন। তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তখন আইনজীবীরা চিৎকার করে বলেন, তার বয়স কত। সে কিসের মুক্তিযোদ্ধা? তোপের মুখে পড়ে গোলাপ আর কথা বলেননি।
তখন বিএনপিপন্থি আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, তাদের আইনজীবী কথা বলেছে। তাদের তো কথা বলার প্রয়োজন নেই। তারা কথা বললে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাবে।
এসময় সাংবাদিক ফারজানা রুপা আদালতকে বলেন, মাননীয় আদালত, আপনি আদালত পরিচালনা করছেন, না উনারা করছেন? এটা কি আদালত অবমাননার শামিল না।
আদালত থেকে বের করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাকিল আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ না। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সাংবাদিকতা করেছি।’
রিমান্ড শুনানিতে শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপার আইনজীবী বলেন, তারা প্রথিতযশা সাংবাদিক। তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। পেশাগত দায়িত্ব পালনে তখন অফিসে ছিলেন। ঘটনার ওপর সৃষ্টি করে মামলা হয়েছে।
আরো পড়ুন : সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সাংবাদিকতা করেছি: শাকিল আহমেদ
সোমবার বিকাল ৫টা ৮ মিনিটের দিকে তিন জনকে এজলাসে তোলা হয়। ৫টা ১২ মিনিটের দিকে আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। প্রথমে শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তিন আসামির রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়।
এর আগে গতকাল (রবিবার ২৫ আগস্ট) রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে গোলাপকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় পোশাককর্মী ফজলুল করিমকে হত্যা মামলায় গত ২২ আগস্ট একাত্তর টেলিভিশন থেকে চাকরিচ্যুত প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপা ও হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদের ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এদিকে গত ২২ আগস্ট গার্মেন্টস কর্মী রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়।