অধ্যক্ষকে হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে সই নেয়ার ঘটনায় মামলা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পিএম

যদুন্দী নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুন্দী নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমানকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে সালথা থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কলেজের পাশের বাসিন্দা যদুনন্দী এলাকার কাইয়ুম মোল্যাকে। এছাড়া স্থানীয় কামরুল গাজী, লালন, মনির ও মিয়াসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এ মামলায় কলেজের কোনো শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়নি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান ও তার ছেলে কলেজে প্রবেশ করার সময় তাদের জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ও কয়েকজন ছাত্র। এ সময় তাদের বাবা-ছেলেকে হাতুড়ি গিয়ে পিটিয়ে আহত করে পরে অধ্যক্ষের কাছ থেকে জোর করে পদত্যাপত্রে স্বাক্ষর নেয়া হয়।
এ ঘটনায় জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন: সাবেক হুইপ ইকবালুর-বিচারপতি ইনায়েতুরসহ ১০৫ জনের নামে মামলা
মামলার পর ওবায়দুর রহমান বলেন, আমাকে হাতুড়িপেটা করে আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে সই নেন কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এতে নেতৃত্ব দেন কাইয়ুম মোল্যা, কামরুল গাজী ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী। তিনি আরো বলেন, আমি ইচ্ছা করে পদত্যাগপত্রে সই করিনি। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিতে তাদের নামে মামলা করেছি। আশা করি ন্যায়বিচার পাবো।
ছাত্রদের মামলায় আসামি না করার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রদের দোষ নেই এখানে। ছাত্রদের ব্যবহার করেছে ওই নেতারা। তাই ছাত্রদের আমি হয়রানি করতে চাই না।
এ বিষয়ে মামলার প্রধান আসামি কাইয়ুম মোল্যা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করেছেন অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান। যে কারণে তার পদত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে, মানববন্ধন করেছে। আমি তার পদত্যাগের বিষয়ে কোনোভাবেই জড়িত নই। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, ঘটনার পর আমি কলেজে গিয়েছিলাম। সব বিষয় খোঁজখবর নিয়েছি। অধ্যক্ষের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।