কত টাকা মুচলেকায় জামিন তাবাসসুম ঊর্মির, ছিলেন কতক্ষণ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৭ পিএম

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মাস্ক পরে আদালতে উপস্থিত হন। ছবি : সংগৃহীত
ফেসবুকে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) মানহানির অভিযোগে করা মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদের আদালত শুনানি শেষে এ জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
এ মামলায় আত্মসমর্পণ করতে এসে ৪০ মিনিট আদালতে ছিলেন তিনি। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মাস্ক পরে আদালতে উপস্থিত হন।
এরপর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তিনি আদালতের ভেতরে আইনজীবীদের সংরক্ষিত আসনে বসেন। এ সময় তিনি নিজের ফোন দেখতে থাকেন। এভাবে তিনি শুনানির জন্য অপেক্ষা করে ২৪ মিনিট সময় কাটান। একপর্যায়ে তার আইনজীবীর সঙ্গে সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে আদালত থেকে বের হয়ে যান।
পরে বিচারক এজলাসে উঠলে ১১টা ১৪ মিনিটে তিনি ফের আদালতে প্রবেশ করেন। পরে মাস্ক খুলে ১১টা ২৪ মিনিটে তিনি আদালতের কাঠগড়ায় ওঠেন। এরপর বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম তার জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন।
এ সময় তিনি বলেন, একটি সাংবিধানিক সরকারকে তিনি উৎখাত চেয়েছেন। এ জন্য রাষ্ট্রদ্রোহের ১২৪(ক) ধারাটি সংযুক্ত করার আবেদন করেন। এ ছাড়া তিনি জামিন পেলে পলাতক হতে পারেন।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান পাটোয়ারী বলেন, তিনি আদালতের সমন পেয়ে হাজির হয়েছেন। আমরা তার জামিন প্রার্থনা করছি।
এরপর আদালত পাঁচ শ টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাস্ক পরে তিনি আদালত থেকে বের হয়ে যান।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর শহীদ আবু সাঈদসহ অন্য শহীদদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলার আবেদন করেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড এবং পর্যালোচনা শেষে ২৮ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ অক্টোবর আসামি ঊর্মি শুধু শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকারপ্রধান নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুক লেখেন। যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধানসম্মতভাবে গঠিত একজন সরকারপ্রধান সম্পর্কে বিষোদগার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। পরে ৭ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।