ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরীক্ষিত ও স্বীকৃত বিচার হবে: এটর্নি জেনারেল

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
এটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, সরকার স্পষ্ট করেই বলেছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরীক্ষিত ও স্বীকৃত একটি বিচার হবে। যেকোন ধরনের বিতর্কের অবসান ঘটাতে সকলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ও মতামত নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধনও করা হয়েছে।
সংস্কার কাজ শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন ও এজলাস কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আজ একথা জানান।
এটর্নি জেনারেল বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্ট গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর রাষ্ট্রীয় কোন প্রভাব নেই।
তিনি বলেন,যে অবকাঠামোগত পরিবর্তন ও পুনঃর্নির্মাণ করা হলো সেটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাজেরই একটি অংশ। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে এতো মানুষ শহিদ হয়েছেন, যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের উপাদান আছে। আইনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী যেসকল অপরাধ সেসময় সংঘটিত হয়েছে তার বিচার এখানে করা হবে।
একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতা মূলক ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ট্রাইব্যুনালকে এটর্নি জেনারেল অফিস সর্বপ্রকার সহায়তা করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূলভবন ও এজলাস কক্ষের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর এবিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী এমএইচ তামিম, তারেক আব্দুল্লাহ, শাঈখ মাহাদীসহ আরো অনেকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরবর্তী সময়ে জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে। জাজ্জ্বল্যমান এ অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে।