আদালতে ক্ষোভ ঝাড়লেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পাঁচজনকে সিঁড়ি দিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়েছে, যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে প্রিজনভ্যানে করে আদালতে আনা হয় এই পাঁচজনকে। তাদের মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া এবং বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো ছিল। তবে, আদালতের লিফট ব্যবহার না করে তাদের সিঁড়ি দিয়ে উঠানো হয়।
এ সময় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সিঁড়ি দিয়ে ওঠার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আদালতের লিফট কি নষ্ট? এত উপরে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটানো হচ্ছে কেন? তিনি একপ্রকার চেঁচামেচি শুরু করেন। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া আইনজীবীরা মন্তব্য করেন, আদালতে আপনারাই তো নষ্ট লিফট লাগিয়েছেন!
পুলিশ সদস্যরা পরে কামরুল ইসলামকে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে সাহায্য করেন।
পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) ওমর ফারুক ফারকী এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেন যে, আদালতে অনেক সময় বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষের ভিড় থাকে, তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আসামিদের সিঁড়ি দিয়ে তোলা হয়। তিনি আরো জানান, কামরুল ইসলাম আদালতে গেলে প্রায়ই পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে ঝগড়া বাধান এবং উচ্চবাচ্য করেন, যা তার অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, জুনাইদ আহমেদ পলকের আইনজীবী আফতাফ মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করেন, কামরুল ইসলাম একজন বৃদ্ধ মানুষ। আজ আদালতের ২ তলায় শুনানি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা ৪ তলায় হয়। আসামিদের ভোগান্তি দেয়ার জন্য সিঁড়ি দিয়ে তোলা হয়েছে।
শুনানি শেষে, ঢাকা মহানগরীর অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান আসামিদের বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং তার সহকর্মীরা গত বছরের ১৯ জুলাই ছাত্র আন্দোলন চলাকালে লালবাগ থানায় এক হত্যামামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হন। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গুলিতে মো. আলী নামের এক ছাত্র নিহত হন।