নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম

পুরনো ছবি
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ নেয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানি আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ তারিখ নির্ধারণ করে।
এর আগে ৬ জানুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। ওইদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে ৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
ওইদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সেন্ট্রাল ম্যানেজার হাফিজুর রহমান, ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার দাস, এস এম শামসের জাকারিয়া ও মো. সামসুল হুদা চৌধুরী। এ মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার জ্বালানি কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
আরো পড়ুন: খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার
বাংলাদেশে তখন সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল।
মামলায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আসামি করা হয়েছিলো, কারণ এই চুক্তিটি প্রথম করা হয়েছিলো ১৯৯৬ সালে, যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
পরে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আদালত শেখ হাসিনাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। তবে মামলাটি রয়ে যায় এবং আসামি হিসাবে থেকে যান খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া ছাড়াও মামলার অন্য সাত আসামি হলেন: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ
এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।