গানে ও কবিতায় রাজনীতির কবিকে স্মরণ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম




শ্রাবণের বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় রাজনীতির কবিকে গান, কবিতা আর নৃত্যের ছন্দে মূর্ত করে তুলেছিলেন দেশের বরেণ্যে কবি ও শিল্পীরা।
১৫ আগস্ট জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কমর্সূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১৬ আগস্ট) ‘কবিতা ও গানে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে এভাবে স্মরণ করা হয়।
শুরুতেই কবিরা সকলে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানান। কথা ও কবিতায় শুরুতেই পরিবেশনা নিয়ে আসেন মঞ্চ সারথি ও কবি আতাউর রহমান।
এরপরে কবি নির্মলেন্দু গুণ ও মুহাম্মদ নুরুল হুদা, কবি নাসির আহমেদ, আসাদ মান্নান, কবি মুহাম্মদ সামাদ, লিয়াকত আলী লাকী, কবি ঝর্ণা রহমান, কবি আসাদুল্লাহ, কবি সালাউদ্দিন আহাম্মদ ও কবি রাসেল আশেকী। এতে সভাপতিত্ব করেন-একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পরে এই কবি সাহিত্যকরাই তাদের শিল্পচর্চার মাধ্যমে পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে সাহায্য করেছিলেন। সাড়ে ৩ বছরে জাতির পিতাকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো তা নিয়ে খুব কমই আলোচনা হয়।’
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ‘আমার পরিচয়’, কবিতায় কোরিওগ্রাফি করে রিদম। নৃত্য পরিচালনা করেন মেহরাব হক তুষার। ‘রক্তাক্ত সিঁড়ি’ পরিবেশন করেন কবি শ্যাম সুন্দর শিকদার। ‘বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ বাংলার মোসলমান’ সমবেত সংগীত পরিবেশন করে ঢাকা সাংস্কৃতিক দল। কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা ‘স্বাধীনতা শব্দটি কি করে আমাদের হলো’ সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা। নৃত্যপরিচালনা করেছেন সাইফুল ইসলাম ইভান।
একক সংগীত পরিবেশন করেন ‘পথে চলে যেতে যেতে কোথা কোনখানে’, তোমার পরশ আসে কখন কে জানে’ ইয়াসমিন আলী পরিবেশন করেন ‘মুজিবুর আছে বাংলার ঘরে ঘরে/কে বলে বঙ্গবন্ধু আজ তুমি নাই’। ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়া প্রাণে, তোমার খোলা হাওয়া’ সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদল পরিবেশন করে ‘আজ যত যুদ্ধবাজ’ কোরিওগ্রাফি করেছেন মেহরাজ হক তুষার। ‘আমি ধন্য হয়েছি আমি পূণ্য হয়েছি’ সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু নৃত্যদল।
কোরিওগ্রাফি করেন আরিফুল ইসলাম অর্ণব। স্নাতা মাহরীনের পরিচালনায় ‘ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিনবছর’ নৃত্যালেখ্য পরিবেশন করে একাডেমির নৃত্যদল। একক সংগীত পরিবেশন করেন তানিমা মুক্তি গমেজ। ‘ধন্য মুজব ধন্য’, ‘যত দিন রবে পদ্মা মেঘনা’ সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশুসংগীত দল।


