একটাই চাওয়া, করোনা ও জঙ্গিমুক্ত হোক দেশ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:২৪ এএম

রইসুল ইসলাম আসাদ

রাইসুল ইসলাম আসাদ।

রাইসুল ইসলাম আসাদ।
বিশেষ সাক্ষাৎকার রাইসুল ইসলাম আসাদ মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতারাইসুল ইসলাম আসাদ। মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা। দেশ স্বাধীনের পরপরই মূলত ১৯৭২ সালে মঞ্চে ও টেলিভিশনে তার অভিনয়ে যাত্রা শুরু হয়। তবে চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ততা ঘটে ১৯৭৩ সালে ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। এরপর ১৯৮০ সালে ‘ঘুড্ডি’, ১৯৮১ সালে ‘লাল সবুজের পালা’, ১৯৮৪ সালে ‘সুরুজ মিঞা’-সহ ৫০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে মুগ্ধ করেছেন সিনেমাপ্রেমী দর্শককে। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘অন্য জীবন’, ‘লালসালু’, ‘দুখাই’, ‘ঘানি’ ও ‘মৃত্তিকামায়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এ তিনি ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বরেণ্যে এই অভিনেতার করোনাকাল কেমন কাটছে ভোরের কাগজের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘরের মধ্যে বন্দী হয়ে বসে আছি। এলোমেলোভাবে নতুন পুরনো মিলে বই পড়ছি। নির্দিষ্ট কোনো বইয়ে মনসংযোগ করতেও পারছি না। টেলিভিশন দেখছি, গান শুনছি এলোমেলোভাবেই। সিরিয়াস কোনো কাজ বা কোনো বই পড়তে ইচ্ছেই করছে না। সব কিছুতে কোথায় যেন ছন্দপতন ঘটে গেছে। আমি মনে করি, ২০২০ সালে বেঁচে থাকাটাই সবচে বড় লাভ। জীবন মানেই আমার কাছে বেঁচে থাকা। নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। এ সময়ে অন্যের ক্ষতি না করে সবার উপকারে নিজেকে নিয়োজিত রাখা উচিত। যে যেভাবে পারে সেটারই চেষ্টা করতে হবে। যে যে অ্যাঙ্গেলেই পারে। কারণ সবার উপরে মানুষ সত্য। অভিনয় শুরু করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশ্নই আসে না। মাঝে তিন বছর অসুস্থ ছিলাম। এরপর থেকে বিভিন্নরকম শারীরিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ডাক্তার বলেছেন, ঘর থেকেই বেরুবেন না। করোনা এসে তো আরো বন্দী হয়ে গেলাম! করোনায় চেনা পৃথিবী কতোটা বদলে গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত অভ্যস্থতা যা ছিল, কাজকর্ম যেভাবে করছিলাম, সেসব একটু অন্যরকম হয়ে গেছে। অবশ্য ১৯৭১ সালেও এরকম একটা সময় এসেছিল, ঠিক সেরকমই একটা সময় এখন এসেছে। সেই একাত্তরের কাল যেমন আমরা কাটিয়ে উঠেছি। এখন এটাও পার করছি। এ সময়টা একটা যুদ্ধের মতোই। যদিও দুটোর প্রেক্ষাপট ভিন্ন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামের ভূখণ্ড পেয়েছি, সেটাই সবচেয়ে পাওয়া। এখনও তেমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। [caption id="attachment_241408" align="aligncenter" width="1000"]
