সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ এএম

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। ছবি : সংগৃহীত
কবি ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ৮২ বছর বয়সে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুরে আগে লন্ডনে ৪ মাস ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছেন বাংলা সাহিত্যের এই দিকপাল।
১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ শামসুল হক। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, কাব্যনাট্য, চিত্রনাট্য, গান, প্রবন্ধ, অনুবাদসহ সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় সাবলীল লেখনী ক্ষমতার জন্য তিনি ‘সব্যসাচী লেখক’ হিসেবে পরিচিত। তার লেখকজীবন প্রায় ৬২ বছর বিস্তৃত ছিল।
কবিতা রচনার মধ্য দিয়ে সৈয়দ হকের সাহিত্যজীবনের শুরু। ১৯৫১ সালে সাহিত্যজগতে পা রাখার দিন থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত থামেনি তার কলম। ১৮ বছর বয়সে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একদা এক রাজ্যে। এর পর একটানা ছয় দশক ধারাবাহিকভাবে তার তিন শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
সৈয়দ শামসুল হকের বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের জ্যেষ্ঠতম।
আরো পড়ুন : রোবট বন্ধু
বাবা মারা যাওয়ার পর অর্থকষ্টে পড়লে চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেন সৈয়দ হক। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি মাটির পাহাড় চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লেখেন। পরে ‘তোমার আমার’, ‘শীত বিকেল’, ‘কাঁচ কাটা হীরে’, ‘ক খ গ ঘ ঙ’ এবং ‘বড় ভালো লোক ছিল’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লেখেন।
‘বড় ভালো লোক ছিল’ ও ‘পুরস্কার’ নামে দুটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
সৈয়দ শামসুল হক রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, পদাবলি কবিতা পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।