এবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর জন্মদিন উদযাপন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে কায়েদ ই আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ১৪৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমির আয়োজনে মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এই সেমিনারে বক্তারা কায়েদ ই আযমের জীবনের নানা দিক ও বাংলাদেশের ইতিহাসে তার অবদান নিয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মো. শামসুদ্দিন বলেন, আমরা ১৯৪৭ সালে প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে স্বাধীন হয়েছি, আর এ জন্য কায়েদ ই আযমকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে কায়েদ ই আযম না আসলে বাংলাদেশে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠত না।
তিনি আরো জানান, অপারেশন সার্চ লাইটের আগে ভারতের পক্ষ থেকে উর্দু ভাষীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। তারা চেয়েছিল, উর্দু ভাষীদের হত্যা করতে পারলে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তিনি উর্দুভাষী জনগণের পূর্বপুরুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যাদের ভূমিকার জন্য বাংলাদেশে শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠে।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে এই প্রচার করেছে যে ভারত ছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভারত শুধু চেয়েছিল, বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যাক। তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর নাম বলা নিষিদ্ধ ছিল। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল আওয়ামী লীগ, যাতে তাদের ‘জাতির পিতা’ শেখ মুজিবুর রহমানের বাইরে আর কেউ ইতিহাসে মহানায়কের মর্যাদা না পায়।
ইন্ডিয়ান বংশদ্ভূত উর্দুভাষী সংখ্যালঘু কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল আফজাল ওয়ার্সী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান কখনো কায়েদ ই আযমের সমালোচনা করেননি, তাই তার মানে তিনি জিন্নাহকে শ্রদ্ধা করতেন।
তিনি আরো বলেন, ভারতের কারণে আমাদের দেশ দুটি আলাদা হয়ে গিয়েছিল। তারা আমাদের দুটি ভাইকে (বাংলাদেশ ও পাকিস্তান) যুদ্ধে জড়িয়েছে। আমরা মুসলমানরা যুদ্ধের মধ্যে মারা গেছি, এবং শেষে ভারতের তাবেদার হয়ে গিয়েছি।
জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস বলেন, লাহোর রেভুলেশনের বাস্তবায়ন ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল কারণ। আমি মনে করি আমাদের জাতির পিতা বাদ দিয়ে ফাউন্ডিং ফাদার হিসেবে নবাব সলিমুল্লাহ, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে এই উপমহাদেশের মুসলিম স্বাধীনতার পিতামহ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত।
এছাড়াও সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা কায়েদ ই আযমের জীবন, তার সংগ্রাম এবং ভারত-পাকিস্তান বিভাজনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করেন।
এতে আগে ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।