হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা হামাসের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:৩২ পিএম

হামাসের শীর্ষ নেতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। হানিয়া নিহতের খবর প্রকাশের আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘোষণা দেন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক।
হামাস পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-আকসা টিভিতে হানিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ইসমাইল হানিয়ার কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ড শাস্তির বাইরে যাবে না। অবশ্যই এর জবাব দেয়া হবে।
হামাসের আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা সামি আবু জুহরি সৌদির টেলিভিশন চ্যানেল আর আরাবিয়াকে বলেন, ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার মাধ্যমে যে উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় শত্রুরা, তা কখনো পূরণ হবে না।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরান গিয়েছিলেন হানিয়া। বুধবার সেখানে এক হামলায় নিহত হন তিনি এবং তার এক দেহরক্ষী। যে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন হানিয়া, সেই বাড়িটি উড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা।
আরো পড়ুন : কে এই ইসমাইল হানিয়া?
হানিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাস। বিবৃতিতে বলা হয়, তেহরানে নিজ আবাসস্থলে ‘বিশ্বাসঘাতক ইহুদিবাদী অভিযানে’ নিহত হয়েছেন ইসমাইল হানিয়া। তবে, হানিয়াকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি ইরান। দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড বলছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
ইসমাইল হানিয়া হামাসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। গত শতকের আশির দশকে হামাসের উত্থানকালে ফিলিস্তিনি সুন্নি মুসলিমদের এই রাজনৈতিক ও সামরিক আন্দোলনের সামনের কাতারে ছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে হামাস বেশির ভাগ আসনে জয় পাওয়ার পর ইসমাইল হানিয়াকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। কিন্তু সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর গাজায় মাহমুদ আব্বাসের দল ফাত্তাহর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে হানিয়াকে সরিয়ে দেয়া হয়।
তবে হানিয়া এই সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে সে সময় বলেছিলেন, তার সরকার ফিলিস্তিনের জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালন থেকে তিনি বা তার সরকার সরবেন না। তারপর থেকেই মূলত গাজার সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রণ চলে যায় হামাসের হাতে।
২০১৭ সালে হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান হন হানিয়া। তার পরের বছরই তাকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। এই ঘোষণার পর গাজা ছেড়ে কাতারে চলে যান হানিয়া। গত কয়েক বছর সেখানেই বসবাস করছিলেন তিনি।