সিরিয়া ছেড়ে পালানোর পর প্রথম মুখ খুললেন আসাদ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ এএম

সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ। ছবি : সংগৃহীত
সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের তোপের মুখে গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়া ছাড়েন দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ। পালানোর পর প্রথমবারের মতো বিবৃতিতে দিয়ে বিষয়টি সবাইকে জানালেন রাশিয়ায় আশ্রয় নেয়া এই সিরীয় নেতা। খবর তাসের।
রাশিয়া থেকে টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক বিবৃতিতে বাশার বলেন, ওই মুহূর্তে দেশত্যাগের কোনো পরিকল্পনা ছিল না আমার। যুদ্ধের শেষ মুহূর্তেও আমার সিরিয়া ছাড়ার পরিকল্পিত ছিল না। আমি দামেস্কে বসেই ডিসেম্বরের ৮ তারিখ সকাল পর্যন্ত আমার দায়িত্ব পালন করেছি।
এতে বাশার বলেন, হামিমিমে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছানোর পর দামেস্কের পতনের কথা জানতে পারি আমি।
বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসী বাহিনী দামেস্কে অনুপ্রবেশের পর যুদ্ধের কার্যক্রম দেখার জন্য রুশ মিত্রদের সহযোগিতায় আমি লাতাকিয়া চলে যাই। ওই দিন সকালে হামিমিম বিমানঘাঁটিতে পৌঁছানোর পর এটা স্পষ্ট হয় যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আমাদের বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর সর্বশেষ অবস্থানগুলোরও পতন হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতেও ড্রোন হামলা জোরদার করা হয়। তখন ওই ঘাঁটি ত্যাগ করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
আরো পড়ুন : সিরিয়ায় ইসরায়েলের ভয়াবহ মামলা
এমন পরিস্থিতিতে ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঘাঁটি থেকে দ্রুত আমাকে রাশিয়ায় সরিয়ে নিতে ঘাঁটির কমান্ডকে নির্দেশ দেয় মস্কো। ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা হই আমি (বাশার)।
বাশারের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দামেস্কের পতনের একদিন পর তিনি রাশিয়া যান। এর আগে সামরিক অবস্থানগুলোর চূড়ান্ত পতন হয়, ফলে অবশিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান অচল হয়ে পড়ে। এসব ঘটনার মধ্যে কখনোই আমি পদত্যাগ বা আশ্রয় নেয়ার কথা ভাবিনি। কোনো ব্যক্তি বা দলের পক্ষ থেকেও এমন প্রস্তাবও দেয়া হয়নি। আমার একমাত্র পথ ছিল সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া।
আসাদ আরো জানান, তিনি হামিমিমে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছানোর পর দামেস্কের পতনের কথা জানতে পেরেছিলেন। তিনি যখন ঘাঁটিতে অবস্থান করছিলেন, এলাকার পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে, রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি তীব্র ড্রোন হামলার মুখে পড়ে। এ অবস্থায় ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে মস্কো অনুরোধ করেছিলেন তিনি।