চার বছর পর সিরিয়ায় নির্বাচন: আহমেদ আল-শারা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ এএম

আহমেদ আল-শারা
সিরিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কমপক্ষে আরো চার বছর সময় লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন নতুন প্রশাসনের প্রধান আহমেদ আল-শারা।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল আল-আরাবিয়াকে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
সিরিয়ার ক্ষমতায় বসা বাশার আল-আসাদের স্বৈরশাসনের পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া স্বশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা আহমেদ আল-শারা সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের প্রধান।
গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর ক্ষমতায় আসেন তিনি।
আসাদের পতনের পর দেশটিতে প্রথমবারের মতো নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন আহমেদ আল-শারা। সৌদির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সিরিয়ায় নতুন একটি সংবিধানের খসড়া তৈরিতে তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর দেশে ব্যাপক পরিবর্তন আনার জন্য আরও প্রায় এক বছর সময় লাগবে।
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ পরিবারের কয়েক দশকের শাসন ও ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান আন্দোলনে দেশটির বিভিন্ন বিদ্রোহীগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করেছিলেন আহমেদ আল-শারা।
তিনি বলেন, জাতীয় সংলাপ সম্মেলন আহ্বান করে এইচটিএসকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে। পররাষ্ট্র সম্পর্কের বিষয়ে আহমেদ আল-শারা বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের সময় আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া এবং তারা আসাদকে আশ্রয় দিয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার অভিন্ন স্বার্থে কাজ করা উচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
আহমেদ আল-শারা ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের একটি দল চলতি মাসে দামেস্ক সফর করেছেন। ওই সময় তারা হায়াত তাহরির আল-শামের এই নেতাকে বাস্তববাদী হিসাবে আখ্যা দেন।
একই সঙ্গে এইচটিএসের এই নেতার মাথার দাম ওয়াশিংটন যে ১০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছিল, সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান।