বাংলাদেশে অস্ত্র ও সামরিক খাতে সহায়তা বাড়াতে চায় তুরস্ক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের সামরিক ও বাণিজ্যিক খাতে সহায়তা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা সফরে আসা তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাত এক সেমিনারে এই ঘোষণা দেন। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তুরস্ক সব খাতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার
ওমর বোলাত বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু টেক্সটাইল খাত হলেও, ফার্মাসিউটিক্যালস, অবকাঠামো, জ্বালানি এবং কৃষি খাতেও বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী তুরস্ক। আগামী বছরগুলোতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে তুরস্ক।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেন।
সামরিক সহযোগিতার প্রস্তাব
অধ্যাপক ড. ওমর বোলাতের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, তুরস্ক বাংলাদেশে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে চায় এবং অস্ত্র রপ্তানিতে আগ্রহী। বৈঠকে খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিল্প, অবকাঠামো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, তুরস্কের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশের অবকাঠামো ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত। এছাড়া সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনায় তারা অস্ত্র রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে।
চাল নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি
বৈঠকের পর শেখ বশিরউদ্দীন রমজানকে সামনে রেখে চালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, চাল আমদানির শুল্ক কমানো হয়েছে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। আগামী তিন মাসে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। চালের দাম নিয়ে মানুষের কষ্ট অস্বীকার করার উপায় নেই, তবে আমরা চেষ্টা করছি সমস্যার সমাধান করতে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি কার্ডের সুবিধাভোগীদের তালিকায় কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যারা বাদ পড়ার কথা ছিল, তারা বাদ পড়েনি। তবে তালিকার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেনি।
উন্নয়নের নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার এই আলোচনা দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। সামরিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ—সব ক্ষেত্রে এই সহযোগিতা দুই দেশের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।