গাজায় আরো এক ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধার, পড়েছিল বাবার দেহের পাশে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম

নিহত ওই জিম্মির নাম হামজা জিয়াদন। ছবি : সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আরো এক ইসরায়েলি জিম্মির মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত উপত্যকাটির একটি টানেল থেকে এক যুবকের দেহাবশেষ উদ্ধারের পর ফরেনসিক তদন্তে সেটি নিশ্চিত হয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃৃৃপক্ষ। নিহত ওই জিম্মির নাম হামজা জিয়াদন (২২)।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় টাইমস অব ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ গাজার রাফাহর একটি টানেল থেকে জিম্মি ইউসেফ (৫৩) এর মৃতদেহ খুঁজে পায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী-আইডিএফ। এসময় সেখানে আরেকটি মরদেহের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। সেটি ইসরায়েলি নিয়ে আসার পর আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষায় দেহাবশেষটি ইউসেফের ছেলে হামজা জিয়াদনের বলে নিশ্চিত হয় কর্তৃপক্ষ। পরে শুক্রবার সকালে জিয়াদনের পরিবারকে খবরটি জানায় আইডিএফ।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের অপ্রত্যাশিত আক্রমণের সময় জীবিত অপহরণ করা হয় হামজা এবং ইউসুফকে। পরে বন্দিদশায় তাদের হত্যা করা হয়। তবে এ ব্যাপারে এখনো হামাসের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগেও বেশ কয়েকবার জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধার করেছিল আইডিএফ। এদের অনেকেই ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় মারা গেছে বলে জানিয়েছে হামাস। সাধারণত জিম্মির মৃত্যু নিয়ে দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করে থাকে।
আরো পড়ুন : নেতানিয়াহুকে রক্ষায় আইসিসির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বিল পাস
এদিকে জিম্মিদের উদ্ধারে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসা হোস্টেজ ফ্যামিলি ফোরাম বলেছে, জিয়াদন এবং তার বাবা ইউসেফকে চুক্তির মাধ্যমে বাঁচানো যেত।
ইউসুফের ভাই এবং হামজার চাচা আলী জিয়াদন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, আমরা চেয়েছিলাম তারা জীবিত পরিবারের কাছে ফিরে আসুক। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তারা মৃত অবস্থায় ফিরে এসেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে অপহৃত ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে ৯৪ জন গাজায় রয়ে গেছে বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে অন্তত ৩৪ জনের মৃতদেহ আইডিএফ নিশ্চিত করেছে।
সেই বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় হামাস ১০৫ বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয় এবং তার আগে চার জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়। আট জিম্মিকে সৈন্যরা জীবিত উদ্ধার করেছে, এবং ৪০ জিম্মির মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন ভুলবশত সামরিক বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে যখন তারা তাদের অপহরণকারীদের সঙ্গে পালানোর চেষ্টা করেছিল।
টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, হামাস ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে গাজায় প্রবেশকারী দুই ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকের পাশাপাশি ২০১৪ সালে নিহত দুই আইডিএফ সৈন্যের লাশও নিজেদের জিম্মায় রেখেছে।