বন্দিমুক্তিতে উদযাপন করা যাবে না: ইসরায়েল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০১ পিএম

৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে মাত্র ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে। ছবি : সংগৃহীত
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি দেয়ার পর যে কোনো ধরনের আনন্দ উদযাপন থেকে নাগরিকদের বিরত থাকতে বলেছে ইসরায়েল।
জনসাধারণের আনন্দ উদযাপন বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটি। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইসরায়েলি কারাগার কতৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আরব নিউজের।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে বন্দিদের মুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। রবিবার থেকে এ বন্দিবিনিময় শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
দেশটির কারা বিভাগ জানিয়েছে, জেরুজালেমের কাছে একটি এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আশকেলনের কাছে আরেকটি কারাগার মুক্তির জন্য বন্দিদের জড়ো করে মুক্তির জন্য প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আশকেলন এবং ইসরায়েলের অন্য অঞ্চলে জনসাধারণের আনন্দ প্রদর্শন রোধ করতে শিকমা কারাগার থেকে এসকর্টকে রেডক্রসের বেসামরিক বাসগুলো পরিচালনা করবে না। ইসরায়েল কারাগার পরিষেবা কমিশনার মেজর জেনারেল কোবি জাকোবি এ নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে জেনেভা-ভিত্তিক আইসিআরসি যুদ্ধের পূর্ববর্তী বন্দিবিনিময় তত্ত্বাবধান করেছিল। তখন ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে গাজা থেকে ১০৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ৮০ জন ইসরায়েলিও ছিলেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, কারা বিভাগের বিশেষ ইউনিট জিম্মিদের পরিবহন পরিচালনা করবে।
আরো পড়ুন : ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন সেই জাকারিয়া জুবেইদি
মুক্তির জন্য নির্ধারিত বন্দিদের ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আনন্দ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন কারাগার পরিষেবা কমিশনার জাকোবি।
শুক্রবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ চুক্তিটি অনুমোদন করেছে যা পূর্ণ মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে উগ্র ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির তার রাজনৈতিক মিত্রদের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইসরায়েলিদের হত্যার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদেরও মুক্তি দেয়া হবে। আমি লিকুদ এবং ধর্মীয় ইহুদিবাদী বন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এখনো খুব বেশি দেরি হয়নি এই চুক্তি এখনো বন্ধ করা যেতে পারে।
উভয় পক্ষের মধ্যস্থতাকারী এবং কর্মকর্তাদের মতে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ৪২ দিনের মধ্যে ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে মাত্র ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে।