লেবাননে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লো ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

ইসরায়েল পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েল ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রথম দফায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ছিল ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর এদিনই নতুন করে দ্বিতীয় দফার চুক্তির মেয়াদ বাড়ার ঘোষণা এলো। ইসরায়েল পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে ব্যর্থ হয়েছে।
হোয়াইট হাউস রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে থাকা লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি ২০২৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
গত ২৭ নভেম্বর ৬০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যস্থতায় ঘোষিত হয় এই যুদ্ধবিরতি।
আরো পড়ুন : ইসরায়েলি হামলায় ১৫ লেবানিজ নিহত
আগের চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল ৬০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী ওই এলাকায় মোতায়েন শুরু করবে। কিন্তু এখনো লেবাননে গ্রাম থেকে ইসরায়েল পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করেনি।
গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের বলিষ্ঠ ভূমিকা ছাড়া এই চুক্তি সম্ভব হতো না। শক্তির মাধ্যমে শান্তি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত দীর্ঘদিন ধরে চলমান, যেখানে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ তীব্র হয়।
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি হওয়ায় লেবাননের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সাময়িক স্থিতিশীলতা আসতে পারে, তবে এটি স্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর এই চুক্তির প্রভাব থাকবে, বিশেষ করে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কতটা টেকসই হবে, সেটিও আলোচনাও। এই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তর কূটনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।