উত্তরায় সেক্টর কল্যাণ সমিতি অফিস দখলমুক্ত করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৮ এএম

ছবি: সংগৃহীত
উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের কল্যাণ সমিতির অফিস দখল করে জোর করে ঘোষণা করা কমিটি ভেঙ্গে নতুন তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বৃহত্তর উত্তরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্রদের উপর হামলা এবং নির্যাতনের দায়ে সভাপতি খিজির হায়াত এবং সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হায়দারের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী সমর্থিত কমিটিটি অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্ররা বিলুপ্ত ঘোষণা করে একটি ১৩ সদস্য বিশিষ্ট অ্যাডহক কমিটি গঠন করে। এবং পুরনো ভোটার তালিকা সংশোধন করে একটি নতুন ভোটার তালিকা প্রনয়নের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচনের উদ্দেশ্যে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
তবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার দায়ে অভিযুক্ত শহিদুল্লাহ দর্জী এবং চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা আজমল হুদা মিঠু, চৈতি গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের পালানোতে সহায়তাকারী বিএনপি নেতা এম কফিলউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী কল্যাণ সমিতি অফিসে গিয়ে ছাত্রদের করা এডহক কমিটিটি জোরপূর্বক ভেঙে তাৎক্ষণিকভাবে মো. আবুল কালাম এবং এম কফিল উদ্দিন নিজেরাই নিজেদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দিয়ে দখল করা সমিতির ৪৩ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি ঘোষণা করে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের সামরিক প্রতিনিধি দলের পাকিস্তান সফর
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে আরো জানা যায়, রায়হান মোল্লা নামের জনৈক এক তরুণকে ওইদিন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আজমল হুদা মিঠু। উল্লেখ্য, নারী ঘটিত কেলেংকারি এবং মিথ্যে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ের দায়ে গত মাসে রায়হান মোল্লাকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছিল। এদিকে উত্তরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সন্ত্রাসের মাধ্যমে কল্যাণ সমিতি অফিস দখল করে অগণতান্ত্রিক উপায়ে এই কমিটি ঘোষণা করায় উত্তরার আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা ক্ষিপ্ত হয় এবং ১৯ জানুয়ারি দখলদার কমিটির অন্যতম সদস্য, জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলাকারী মো. শহিদুল্লাহ দর্জীসহ অন্যন্য সদস্যদের উপস্থিতিতে উক্ত দখলদার কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১৮ জানুয়ারি কমিটি বিলুপ্তির জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় ছাত্ররা।
এদিকে ১৯ জানুয়ারির ওই বৈঠকে ছাত্রদের তরফ থেকে মোট পাঁচটি দাবি উত্থাপিত হয়। দাবিগুলো হলো-
১. কল্যাণ সমিতি অফিস দখল করে জোর করে ঘোষিত কমিটি বিলুপ্তি
২. পূর্বের কমিটির দখল করার মত অন্যায় কাজের জন্য অফিশিয়ালি দু:খ প্রকাশ করা
৩. সমন্বয়ের মাধ্যমে নতুন তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠন করা। উক্ত কমিটি অবশ্যই ফ্যসিবাদের দোসরমুক্ত হতে হবে এবং ৭ নম্বর সেক্টর নিবাসী ছাত্র নেতাদেরকে কমিটিতে রাখতে হবে
৪. আগামী ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন দেয়া
৫. ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা