সব জেলা পরিষদে থাকবে না সমান সদস্য

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৩৮ পিএম
সব জেলা পরিষদে একই সংখ্যক সদস্য না রেখে বিদ্যমান জেলা পরিষদ আইন সংশোধনের প্রস্তাব করে বিল উঠেছে জাতীয় সংসদে।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০২২ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে তা সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিদ্যমান আইনে প্রতি জেলায় ১৫ জন সাধারণ সদস্য এবং পাঁচ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকার বিধান রয়েছে।
তা সংশোধন করে প্রত্যেক উপজেলায় (জেলার মোট উপজেলার সমানসংখ্যক) একজন করে সদস্য এবং চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের মোট সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ (নিকটবর্তী পূর্ণসংখ্যা) নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
এদিকে বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশনকে ভোটার তালিকা তৈরির কথা বলা হলেও প্রস্তাবিত আইনে নির্বাচন কমিশনকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায় সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে।
চলতি মাসের মধ্যে দেশের প্রায় সবগুলো জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হতে চলছে। তার আগে চলতি সংসদেই এই বিলটি পাস হতে পারে। সেক্ষেত্রে দেশের বর্তমান জেলা পরিষদগুলোতে প্রশাসক বসানো হবে।
জেলা পরিষদের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক জেলায় একজন চেয়ারম্যান, ১৫ সদস্য ও ৫ নারী সদস্য অর্থাৎ মোট ২১ সদস্যের পরিষদ রয়েছে।
বিদ্যমান আইন ও প্রস্তাবিত আইনে, নির্বাচকমণ্ডলী (ভোটার) হিসেবে একই ধরনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। তবে বিদ্যমান আইনে ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের প্রণয়ন করার কথা থাকলেও প্রস্তাবিত আইনে সেটা বলা হয়নি।
আইন অনুযায়ী জেলার অন্তর্গত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলররা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা জেলা পরিষদের ভোটার।
বিলে নতুন উপধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, জেলার অন্তর্গত উপজেলা জেলা পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পৌরসভার মেয়র এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের মেয়রের প্রতিনিধি পরিষদের সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে বলা হয়েছে। তবে তাদের ভোটাধিকার থাকবে না।
প্রস্তাবিত আইনে জেলা পরিষদের কার্যক্রম সরকারের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আনার কথা বলা হয়েছে।