বাস থেকে ফেলে হত্যা: চালক-সহকারীর যাবজ্জীবন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২২, ০৭:৫০ পিএম
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসে জোর করে এ পথচারীকে তুলে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে হত্যা দায়ে চালক শওকত ওরফে সইক্যা এবং তার সহকারী আক্তার হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জেসমিন আরা বেগম মামলাটির রায় ঘোষণায় এ আদেশ দেন। তবে দুই আসামিই পলাতক রয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ১৯৯৯ সালে ৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন শ্যামলী শিশু মেলার পাশে আগারগাঁও রোডে রিকশাচালক রায়হানের রিকশায় ধাক্কা দেয় একটি মিনিবাস। এতে ওই রিকশা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চালক ও সহকারী রিকশাচালককে ৫০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চায়। কিন্তু সেখানে উপস্থিত অজ্ঞাত এক ব্যক্তি এর প্রতিবাদ করে ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তখন চালক শওকতের নির্দেশে সহকারী আক্তার ওই ব্যক্তিকে শার্টের কলার ধরে জোর করে বাসে টেনে তোলে। এরপর চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেয়। এসময় গুরুতর আহত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা যান।
এ ঘটনায় সেদিনই মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলী আজম সিদ্দিকী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পরের বছর ১৬ অক্টোবর দুজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে চালক শওকত মুন্সীগঞ্জ জেলার বাযাইকান্দি গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে ও সহকারী আক্তার ফরিদপুরের মসলন্দপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে বলে জানা যায়।
পরে ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।