নিউমার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১০

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২২, ০১:২৫ এএম

রাজধানীর নিউমার্কেটে সোমবার দিবাগত রাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ। ছবি: ভোরের কাগজ

সংঘর্ষ চলাকালে জনতার ভীড়।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এই সংঘর্ষের শুরু হয়। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। ফুটপাতের দোকানে কাপড় কেনা কেন্দ্র করে বিরোধের সূত্রপাত হয়। এক পর্যাযে ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। রাত ২টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ থামেনি।
দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। পুলিশ কাঁদুনে গ্যাসের শেলও ছুঁড়েছে। সংঘর্ষের মধ্যে ওই এলাকায় মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
[caption id="attachment_345515" align="aligncenter" width="1400"]
ঢাকা কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁদের এক সহপাঠীর ওপর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়েছেন। এর প্রতিবাদে ঢাকা কলেজের আবাসিক হল থেকে কয়েক শ ছাত্র লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হল থেকে বের হয়ে নিউমার্কেটে যান। এ সময় নিউমার্কেটের কিছু দোকান ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি কিছু ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়। এরপর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বেরোলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ঘটনাস্থরে এসে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীরা পিছু হটে। তবে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় ব্যবসায়ীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছে। পুলিশ তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছে।এর আগে সংঘর্ষের সূত্রপাত কী নিয়ে জানতে চাইলে রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মো. ফারুকুজ্জামান ভোরের কাগজকে জানান, ‘সংঘর্ষের কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। এ বিষয় কথা বলে পরে জানাতে পারব।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ফুটপাতের দোকানে কাপড় কেনা কেন্দ্র করে বিরোধের সূত্রপাত হয়।
এদিকে ঘটনাস্থলে দেখা গেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। রাতে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ।