ফেনীতে সুপারের অপমানে মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২২, ০৯:৫৭ পিএম

ফাইল ছবি
ফেনীতে মাদ্রাসা সুপারের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে এক ছাত্রী। বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রীর নাম- ফারজানা আক্তার (১৪)।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে কোনো মামলা বা অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাইনি।
নিহত ওই ছাত্রী ফারজানা রাজাপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের মেয়ে। তিনি ফেনীর দাগনভূঞার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের আমুভূঞারহাট হাছানিয়া দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
নিহতের পরিবার জানায়, মাদ্রাসা সুপার মাওলানা বেলাল হোসেন ওই ছাত্রীর অভিভাবককে মাদ্রাসায় নিয়ে আসার জন্য বলেন। কিন্তু ওই ছাত্রীর বাবা চাকরির কারণে ঢাকায় অবস্থান করায় এবং মা অসুস্থ হওয়ায় মাদ্রাসা সুপারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় গেলে সুপার ও সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর ও গিয়াস উদ্দিন মিঞা শিক্ষার্থীদের সামনে তাকে বকাঝকা করে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেন। এ অপমান সহ্য করতে না পেরে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেন।
মাদ্রাসা সুপার বেলাল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ওই ছাত্রীর বিষয়ে কিছু অভিযোগ রয়েছে। সে জন্য ওই ছাত্রীর অভিভাবককে নিয়ে আসার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু সে অভিভাবক নিয়ে আসেনি। ক্লাসে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় তার মাকে মাদ্রাসায় আসার জন্য বললে বকাঝকা করেন তিনি। পরে আমি ও সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর ও গিয়াস উদ্দিন মিঞা তাকে জানাই অভিভাবক নিয়ে না আসা পর্যন্ত ক্লাস করার দরকার নেই। তখন সে বাড়ি চলে যায়। তাকে কোনো বকাঝকা করিনি।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর ও গিয়াস উদ্দিন মিঞার সঙ্গে এ ঘটনায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। সেটি ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় যদি কেউ অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।