জট খোলেনি গাজীপুরে শিক্ষক দম্পতির মৃত্যুরহস্যের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২২, ১১:৫০ এএম

নিহত স্কুলশিক্ষক মাহমুদা আক্তার ও জিয়াউর রহমান
# ফুসফুস-কিডনিতে পাওয়া গেছে জমাট রক্ত # সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে
এখনও জট খোলেনি গাজীপুরে শিক্ষক দম্পতির মৃত্যুরহস্যের। গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকায় রাতভর নিখোঁজ থাকার পর ভোরবেলায় একটি প্রাইভেটকারে কে এম জিয়াউর রহমান (৫১) ও মোসা. মাহমুদা আক্তার ওরফে জলির (৩৫) মরদেহ পাওয়া যায়। ঠিক কি কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের হত্যা করা হয়েছে নাকি সেটি এখন অবধি অজানা।
তাদের মৃত্যুর বিষয়ে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি।
গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দলাল চৌধুরী বলেন, গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয় ওই শিক্ষক দম্পতির মরদেহ। রাতেই গাজীপুরে তাদের নামাজে জানাজা শেষ করে ময়মনসিংহের ত্রিশালের গ্রামের বাড়িতে তাদের দাফন করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, সকাল পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় এখনও এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়নি। এছাড়া, তাদের মৃত্যুর কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে। তবে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শাফি মোহাইমেন বলেন, বিকেলে শিক্ষক দম্পতির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাদের দুজনেরই ফুসফুস ও কিডনিতে পাওয়া গেছে জমাট রক্ত। যা খাবারে বিষক্রিয়া কিংবা অন্য কারণেও হতে পারে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
নিহতের ছেলে তৌসিফুর রহমান মেরাজ বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাবা জিয়াউর রহমানকে ফোনে না পেয়ে মায়ের মোবাইল ফোনে কল দিই। তখন মা কিছু সময়ের ভেতর বাসায় আসছেন বলে জানান। কিন্তু রাত গভীর হলেও তারা ফিরে না আসায় বিষয়টি স্বজনদের জানাই এবং বিভিন্ন স্থানে, থানা-হাসপাতালে খোঁজ নিই।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতভর নিখোঁজ থাকার পর গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেক এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থেকে কে এম জিয়াউর রহমান ও মোসা. মাহমুদা আক্তার ওরফে জলির মরদেহ পাওয়া যায়।