১৭০ পরিচ্ছন্নকর্মীকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাসার চাবি হস্তান্তর

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:০৫ পিএম

বুধবার নগরভবনে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে বরাদ্দপত্র ও বাসার চাবি হস্তান্তর করেন সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: ভোরের কাগজ।

প্রধানমন্ত্রীর বাসা উপহার পাওয়া পরিচ্ছন্নকর্মীরা। ছবি: ভোরের কাগজ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কর্মরত ১৭০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী পেলেন নতুন বাসা। বুধবার (৩১ আগস্ট) নগরভবনে তাদের হাতে বরাদ্দপত্র ও বাসার চাবি হস্তান্তর করেন সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এসময় তিনি বলেন, আজকে নগরীর পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের যেসব বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, সেগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাদল সরদার, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দার আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ। ১০তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত এ ভবনগুলোর নাম শাপলা, শালুক ও পলাশ। ৪৭২ বর্গফুট আয়তনের বরাদ্দকৃত প্রতিটি বাসায় দুইটি থাকার রুম, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট, একটি বারান্দা রয়েছে।
[caption id="attachment_365239" align="aligncenter" width="700"]
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দেয়া এই বাসাগুলো ঢাকা দক্ষিণের আওতায় হলেও তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। তিনি অনুধাবন করেছেন যে, আমাদের এই বিপুল সংখ্যক পরিচ্ছন্নতাকর্মী হরিজন, মুসলিম, তেলেগু, মানামি সম্প্রদায়ের যারা নিন্ম আয়ের এবং যাদের কোনো মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই, তিনি সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করে তাদেরকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই বাসস্থানের ব্যবস্থা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মমতায় আপনাদের ঠিকানা করে দিলেন।
আবাসন সমস্যার সমাধান করা হবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা যেসব বাসা নির্মাণ করছি, সেগুলোর মধ্যে কিছু ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, কিছু নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলেই সেগুলোও পরিচ্ছনকর্মীদের বরাদ্দ দেয়া হবে। তেলেগু সম্প্রদায়কে যে বাসা দেয়া হয়েছে, সেখানে কিছু বাসা খালি আছে। সেগুলোও অচিরেই প্রাপ্যতা তালিকা সম্পন্ন করে যেন তাদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়। নতুন তিনটি ভবনেও ১২০টি বাসা বাকি আছে। সেগুলোও আমরা পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরকেই বাসা বরাদ্দ দিয়ে দেব।
তিনি বলেন, কোথাও যদি অন্যায়-অন্যায্য কিছু পাওয়া যায় তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা কোনো অন্যায় ও অন্যায্য বরদাশত করব না। গত দুই বছরে কোনো অনিয়ম, অন্যায় বরদাশত করিনি। আগামীতেও করব না।