নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে এখনো চলছে গোলাগুলি, আতঙ্কে কৃষকরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৩৫ পিএম

ঘুমধুম সীমান্তে এখনো চলছে গোলাগুলি।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পাহাড়ে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে এখনো চলছে গোলাগুলি।
আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার পর থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় সীমান্তের এপারে। দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে ছোড়া হয় আর্টিলারি ও মর্টার শেল। গোলাগুলি অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় এপারের জনবসতিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে গতকাল একটি ভারী অস্ত্রের গুলি এপারের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাজারের পাশে কৃষক শাহজাহানের বাড়ির আঙিনায় এসে পড়ে। তার বাড়িটির পাশেই শূন্যরেখায় চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয়শিবির।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টু বলেন, শাহজাহানের আঙিনায় এসে পড়া তাজা গুলিটি উদ্ধার করেছে বিজিবি। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সীমান্তে বিজিবি তৎপর আছে।ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সকাল থেকেই থেমে থেমে দুই পক্ষের গোলাগুলি চলছে। আর্টিলারি, মর্টার শেল ও গোলার বিকট শব্দে তুমব্রু সীমান্ত কাঁপছে। শূন্যরেখার আশপাশে প্রায় ৮০০ একর জমিতে বাংলাদেশি কৃষকের জুম, ধান ও শাকসবজির চাষাবাদ করেন। সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি ও বাংলাদেশ অংশে গুলি এসে পড়ায় চাষিরা আতঙ্কে খেত-খামারে যেতে সাহস করছেন না।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, চাকঢালা, জামছড়ি, আশারতলী, আমতলী এলাকা পড়েছে মিয়ানমার সীমান্তে। সেখানে স্থানীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও বাঙালিরা জুম, ধান, শাকসবজির চাষাবাদ করেন। ওপারের গোলাগুলিতে তারা আতঙ্কে আছেন।
চাকঢালার কৃষক আলো মং মারমা জানান, গোলাগুলির শব্দ এবং গুলি এসে পড়ার শঙ্কায় বহু কৃষক জুমচাষে যেতে পারছেন না। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জুমচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা আছে।